‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’ নামে একটি ওয়েব ফিল্ম নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এতে অভিনয় করেছেন জেফার রহমান। ‘মনোগামী’ ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অভিনয়শিল্পী হিসেবে অভিষেক হলো তার। বিষয়টি নিজের জন্য অনেক আনন্দের একইসঙ্গে চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন এই সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গান থেকে অভিনয়ের পথচলাসহ নানা প্রসঙ্গে কালবেলার মুখোমুখি হন জেফার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রবিউল ইসলাম রুবেল।
‘মনোগামী’কে বাংলায় কী নামে ডাকব?
‘মনোগামী’র বাংলা আমি জানি না। কিন্তু মনোগ্রামের অর্থ কী, সেটা পোস্টারেই দেওয়া আছে।
আপনার চুলের মধ্যে যে পরিবর্তন সেটা কি এমনই থাকবে? এটা আসলে অনেক দিন হয়ে গেছে, আমি নিজেও অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। আগে প্রবলেম ছিল, চুল খুলে বের হতাম না। সেটা এখন আমার কাছে নরমাল হয়ে গেছে। আবার হয়তোবা করব। তবে দুটোই মেনটেইন করব।
যখন আপনার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে সেটা আপনি কীভাবে নিয়েছেন?
যখন প্রথম অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, আমার কাছে খুবই অবাক লেগেছে বিষয়টি। কারণ, আমি তো আসলে সংগীতের মানুষ। অভিনয়ের প্রস্তাব আমার জন্য শকিং ছিল। যেহেতু আমি গান করি, তখন ভাবলাম হয়তোবা আমি চেষ্টা করতেই পারি। আবার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মতো নির্মাতা আমাকে অভিনয়ের সুযোগ দেন। তখন মনে হলো, এটাই আমার প্রথম প্রজেক্ট হওয়ার মতো।
চঞ্চল চৌধুরী ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, এ দুই নামই কি তাহলে অভিনয়ে যুক্ত হওয়ার কারণ? একদম তাই। ফারুকী ভাই তো আছেনই, চঞ্চল ভাইয়ের কথা আমি অনেক পরে জানতে পারি। এমন কম্বিনেশন থাকার পর আর কী প্রশ্ন থাকতে পারে।
অভিনয়ের প্রস্তাব কি এর আগেও এসেছিল? হ্যাঁ, অনেকবার এসেছে। সেগুলো করা হয়নি নির্মাতা এবং চরিত্রের কারণে। একই সঙ্গে অভিনয়ে আসার সঠিক সময় ছিল না বলে তখন মনে হয়েছিল। এখন অভিনয় করার সঠিক সময় মনে হচ্ছে।
এরপর আপনাকে কীভাবে পাবে দর্শক? আমি শুরুই করলাম ফারুকী ও চঞ্চল ভাইকে দিয়ে। পরবর্তী কাজগুলো যেন সেই মানের হয়, এভাবে আমি এগোব। ভালো গল্প, নির্মাতা পেলে আমি কাজ করব।
জেফার কবে বিয়ে করছে? বর্তমানে আমার জীবনটা এত রিলেটেড হয়ে গেছে যে, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভাবার সময় পাচ্ছি না। কাজের চাপ কমুক, তারপর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভাবব।
মন্তব্য করুন