ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে কালবেলার প্রশ্ন ছিল দুটি। একটি হলো—অভিনয়শিল্পীর ব্যক্তিজীবন বারবার খবরে উঠে এলে শিল্পের কোনো ক্ষতি হয় কি না? অপরটি হলো—অভিনেতা শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণির ডিভোর্সকে কীভাবে দেখছেন তিনি?
রাজ-পরীর বিষয়ে জায়েদ খান বললেন, ‘এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। শিল্পীর ব্যক্তিজীবন শিল্পীর ব্যক্তিগত। তবে সব শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত। শিল্পীদের এমন কিছু করা উচিত নয় যেটা অন্য শিল্পীদের ওপর প্রভাব ফেলে। মানুষ যেন সব শিল্পীকে এক পালায় না মাপেন।’
অতীতের নায়িকাদের যাপিত জীবনের উদাহরণ টেনে কালবেলাকে জায়েদ খান বলেন, ‘আগের দিনগুলো এমন ছিল না। এখন এটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে! আগে নায়িকাদের বিয়ে বা বাচ্চা হলে জানাতই না। জনপ্রিয়তা কমার ভয়ে সেসব লুকানো হতো। সঙ্গীকে অনেক সময় ভাই পরিচয় দিত। এখন তো বাচ্চা কোলে নিয়ে কত মাস পূর্ণ হলো— এগুলো প্রকাশ করাকে ফ্যাশনে পরিণত করেছে। এতে নায়িকারই ক্ষতি। কারণ নায়িকাকে স্বামী ও বাচ্চাসহ দেখলে সাধারণ মানুষের স্বপ্নের জায়গাটা নষ্ট হয়ে যায়।’
অভিনয়শিল্পীদের ব্যক্তিজীবন প্রকাশিত হলে তা সিনেমা অঙ্গনে কোনো প্রভাব ফেলে কি না, এ বিষয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ বলেন, ‘শিল্পীরা সবার, শিল্পীরা আইডল। কেউ কাউকে ডিভোর্স দিলে, ব্যক্তিগত বিষয়গুলো সবাইকে জানিয়ে দেওয়া কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়া—এতে শিল্প ও শিল্পীদের অনেক ক্ষতি হয়। শিল্পীদের বিষয়গুলো পর্দার বাইরে রাখলেই ভালো। সাংবাদিকদের বাইরে থাকলে ভালো হয়।’
পরিশেষে জায়েদ বলেন, ‘দর্শক শিল্পীদের নিজর মনে করে। কিন্তু ব্যক্তিগত বিষয়গুলো যখন বারবার প্রকাশ হয়, তখন শিল্প ও শিল্পীর প্রতি মানুষের আর আগ্রহ থাকে না।’
মন্তব্য করুন