শোবিজ ছেড়ে মন দিয়েছিলেন ধর্ম-কর্মে। সংসারও বেঁধেছিলেন। কিন্তু সুখের সংসারে বেজে উঠেছে ভাঙনের সুর। বলছি আলোচিত মডেল সানাই মাহবুবের কথা। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা উঠলেও এখনো বিচ্ছেদ হয়নি তাদের। কালবেলাকে সানাই জানালেন, ঝুলে আছে তাদের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া। এদিকে দীর্ঘদিন শোবিজ থেকে বাইরে থাকার পর আবারও শোবিজে ফেরার কথা জানালেন এই মডেল। কাজও খুঁজছেন। কিন্তু মনমতো কাজ পাচ্ছেন না বলে জানালেন সানাই।
বৃহস্পতিবার কালবেলার সঙ্গে আলাপে এই মডেল বলেন, ‘গত ৭ জুন দুই পরিবারের উপস্থিতিতে স্বামীর সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই পরিবার এখনো বৈঠকে বসেনি। শুধু তাই নয়, আবারও সংসার শুরু করা যায় কিনা- সে বিষয়েও ভাবার অনুরোধ করেছেন তারা। আমিও ভাবছি- কী করা যায়।’
সানাই আরও বলেন, ‘চিন্তা-ভাবনা করছি, স্বামীর সংসারে আবার ফেরা যায় কিনা। তবে বিষয়টি যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে আবার সংসার শুরু করাটা একটু কঠিন হয়ে যাবে।’
সানাইয়ের কথায় এটা স্পষ্ট যে, তাদের সংসার জোড়া লাগার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আবার সহসাই বিচ্ছেদও হচ্ছে না। সব মিলিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটা আপাতত ঝুলে আছে।
সানাই আরও জানালেন, শোবিজে ফিরলেও আগের মতো নাচে-গানে বা অভিনয়ে দেখা যাবে না তাকে। যুক্ত হবেন উপস্থাপনার সঙ্গে। কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, ধর্মীয় বিধানের ভেতর থেকে যতটুকু সম্ভব ততটুকু কাজই করতে চান তিনি।
কাজ পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সানাই বলেন, ‘এখনো কোনো কাজ পাইনি, কারণ যে ধরনের কাজ খুঁজছি তা পাচ্ছি না। কারণ আমি শালীনতা বজায় রেখে কাজ করতে চাই। এখনো মনমতো কাজ না পেলেও শিগগিরই কাজ পেয়ে যাব।’
এদিকে বছর কয়েক আগে অনেকটা গোপনেই বিয়ে করেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সালেহ মুসাকে। তার সঙ্গে আর সংসার করবেন না এমন ইঙ্গিত দিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন সানাই। তারপরই তার বিচ্ছেদের ব্যাপারটি সামনে আসে।
বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে সানাই অভিযোগের তীর ছুঁড়লেন শ্বাশুড়ির দিকে। বললেন, শ্বাশুড়ির কারণেই ভাঙতে যাচ্ছে তাদের সংসার। প্রতিনিয়তই শাশুড়ি তাকে নিয়ে সমস্যা তৈরি করছে। এ নিয়ে স্বামীকে বললেও সে চুপ থাকে।
সানাই আরও জানালেন, সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, স্বামীর কারণে শোবিজ ছেড়ে দিয়ে মন দিয়েছিলেন ধর্মকর্মেও। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
একসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা বিচরণ ছিল সানাই মাহবুবের। এ নিয়ে সমালোচিতও হতে হয়েছে তাকে। অশ্লীলতার অভিযোগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে হাজিরাও দিয়েছিলেন। সে সময় মুচলেকায় সই করে ছাড়া পান তিনি।
মন্তব্য করুন