খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা অঞ্জনা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। পরবর্তীতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকের পরামর্শে চেকআপের পরে তার রক্তে ইনফেকশন ধরা পড়ে।
এক সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসা নিলেও কোনো উন্নতি হয়নি অঞ্জনার। পরে বুধবার (১ জানুয়ারি) তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে অঞ্জনাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাসপাতালে কিংবন্দন্তি এই নায়িকার পাশে আছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আহম্মেদ তেপান্তর। তিনি কালবেলাকে বলেন, অঞ্জনা আপার শারীরিক কন্ডিশন খারাপের দিকে যাচ্ছে। গুণী এ অভিনেত্রীর উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা রাষ্ট্রীয় সহায়তা চাই। তার চিকিৎসা ব্যয় ভার বহন করার মতো অবস্থানে নেই।
তিনি একজন গুণী চলচ্চিত্র তারকা। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও নিজের অভিনয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন অঞ্জনা আপা। রাষ্ট্রের উচিত এই সংকটাপন্ন অবস্থানে তার পাশে দাঁড়ানো।
একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন অঞ্জনা। চিত্রনায়ক ও প্রযোজক সোহেল রানার হাত ধরে সিনেমায় পা রাখেন তিনি। অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। রহস্যভিত্তিক এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।
ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। যৌথ প্রযোজনার সিনেমায় অভিনয় করেও সুনাম অর্জন করেন এ অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন