আসছে ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে বানভাসি মানুষের গল্পে নির্মিত সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এর ট্রেলার প্রকাশ করা হয়। এ সময় সিনেমা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। চরের মেহনতী মানুষের জীবন ও প্রকৃতির খেয়ালিপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ গল্প অবলম্বনে এটি নির্মিত হয়েছে। মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে প্রথমবারের মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন সোহেল রানা বয়াতি।
পরিচালক বলেন, ‘নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে আমার প্রথম সিনেমাটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রথম সিনেমা নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকলেও প্রতিটি মুহূর্তে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। মাত্র ৩৭ হাজার টাকা নিয়ে এই সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আউটডোর রওনা দেই। একটা সময় টাকার অভাবে এর নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে যখন সিনেমাটি নিয়ে হতাশ ছিলাম তখন জি-সিরিজের খালেদ ভাই হাল ধরেন। সবার সহযোগিতায় সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। এই সিনেমা মানুষের মনে দাগ কাটবে। নয়া মানুষ হওয়ার জন্য অনেকেই চাইবে।’
রওনক হাসান, ‘এই কাজটা অসম্ভব কষ্ট করে করা। আমাদের সব কথা নয়া মানুষের মাধ্যমে বলা হয়েছে। যার জন্য সিনেমাটি দেখতে হবে। মানুষের চোখকেও সিনেমাটা আরাম দেবে।’
সহশিল্পী মৌসুমী হামিদের প্রশংসা করে এই অভিনেতা বলেন, ‘মৌসুমী চরের মানুষের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। এতটা মিশে গিয়েছিল, কখনো ওকে (মৌসুমী) আলাদা মনে হয়নি। সিনেমাটির জন্য আমরা বিশাল যুদ্ধ করেছি। সবাই হলে এসে সিনেমাটি দেখবেন। বাংলা, মাটি ও মানুষের গল্প নয়া মানুষ।’
মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘এই সিনেমাটি আমাকে শক্তি জোগায়। নয়া মানুষের জার্নি আমার জীবনে কাজে লেগেছে। নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটি যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন নাজমুল হক ভূঁইয়া (খালেদ) হাল ধরেছেন। তিনি না হলে সিনেমাটি শেষ হতো না। আমরা নয়া মানুষ নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী।’
সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি ও শিশুশিল্পী ঊষশী প্রমুখ। দেশের অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ’র ব্যানারে নান্দনিক ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। সিনেমার প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া।
২০২২ সালের অক্টোবরে চলচ্চিত্রটির চিত্রধারণ শুরু হয়। কিন্তু সুপার সাইক্লোন সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে শুটিং সেট চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে আবার নতুন করে শুরু হয় চলচ্চিত্রটির কাজ, শেষ হয় ১২ এপ্রিল। পোস্ট প্রোডাকশন শেষ করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা হয় এবং ২ অক্টোবর সদস্যরা সিনেমাটি দেখে ২৩ অক্টোবর আনকাট সনদ নথিভুক্ত করেন।
মন্তব্য করুন