ইউটিউবে কনটেন্ট বানিয়ে পরিচিতি পান রাসেল মিয়া। পরবর্তীতে ‘ভাইয়ারে’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ২০২২ সালে সিনেমাটির মুক্তির সময় ‘পাপমুক্ত’ চলচ্চিত্র বলে দাবি করেন এই অভিনেতা। রাসেলের সেই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছিল।
বিয়ে করেও বেশ আলোচনায় আসেন তিনি। এ বছর এফডিসিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে এসে পরিচয় হয় আরেক অভিনেত্রী ও গায়িকা সুমাইয়া আফরিন বর্ষার সঙ্গে। দুজনের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বর্ষাকে পেয়ে তার জীবন ধন্য এমনটাই বলেছিলেন রাসেল।
এবার জানা গেল ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে স্ত্রী সুমাইয়া আফরিন বর্ষার করা মামলায় সেই ‘পাপমুক্ত’খ্যাত রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন আলী। জানান, গ্রেপ্তারের পর রাসেল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সবুজবাগ থানায় রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী বর্ষা। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘চলতি বছরের ১৬ মার্চ ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিবাদী রাসেল মিয়ার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। বিয়ের পর আমি আমার ভবিষ্যৎ সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় বিবাদীকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ দেই। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিবাদীর লোভ আরও বেড়ে যায় এবং সে নতুন সিনেমা তৈরি করবে বলে প্রায়ই আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। আর যৌতুকের টাকা না দিলে দ্বিতীয় বিবাহ করবে বলে আমাকে হুমকি দেয়। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায় সময়ই যৌতুকের দাবিতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।’
এজাহারে সুমাইয়া আফরিন আরও বলেন, ‘আমি ভবিষ্যৎ সুখের আশায় বিবাদীর নির্যাতন সহ্য করে ঘর-সংসার করতে থাকি। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিবাদী বাসায় আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করায় সে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। এ সময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করার পর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করায়।’
রোববার রাতে নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বর্ষা। ওই লাইভে তিনি দাবি করেন, বিয়ের তিন দিন পর থেকেই রাসেল মিয়া যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
মন্তব্য করুন