কালো পোশাক পরে লিফট থেকে বেরিয়ে আসছেন রাশমিকা মান্দানা। পরনে কালো রঙের পোশাক, যদিও সেটি বেশ কুরুচিকর। পোশাকটি এমনিই যে অভিনেত্রীর বক্ষ যুগল স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর ঊরুও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সেই পোশাকে। তেমনই আবার শরীরের অন্যান্য স্পর্শকাতর অঙ্গও খানিকটা স্পষ্ট। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অভিনেত্রীর সেই ভিডিও।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিওটি রাশমিকা মান্দানার নয়। জারা পাটেল নামের অন্য এক ব্রিটিশ ভারতীয় নারীর ভিডিও সেটি। তার বডিতে রাশমিকার মুখ বসানো হয়েছে ডিপফেক ব্যবহার করে। ডিপফেক হলো এক ধরনের সিন্থেটিক মিডিয়া। যা AI ব্যবহার করে একটি আসল ইমেজ বা ভিডিওতে একজন ব্যক্তিকে প্রতিস্থাপন করে অন্য কারও সঙ্গে।
এদিকে ভাইরাল সেই ভিডিও সোচ্চার হয়েছে বলিউডের তারকারা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। ভারতীয় এক সাংবাদিক ভিডিওটি তার এক্সে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ডিফেক ভিডিওর বিরুদ্ধে ভারতে আইন ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো জরুরি। আপনারা ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী রাশমিকার এই ভাইরাল ভিডিও দেখেছেন। কিন্তু এটি ফেক ভিডিও। জারা প্যাটেলের বডিতে রাশমিকার মুখ বসানো হয়েছে’।
সাংবাদিকের সেই এক্স শেয়ার করেছেন অমিতাভ বচ্চন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, এ বিষয়ে কঠিনভাবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি’।
এ তথ্য জানার পরই অপরাধীর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানাতে শুরু করেন রাশমিকার অনুসারীরা। ভাইরাল সেই নকল ভিডিও নিয়ে নীরব থাকলেও অবশেষে সরব রাশমিকা মান্দানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাকে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ডিপফেক ভিডিও নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে, বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। সত্যি বলতে আমি শঙ্কিত। এই শঙ্কা শুধু নিজের জন্য নয়; বরং তাদের প্রত্যেকের জন্য, যারা প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’
অভিনেত্রী তার ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, ‘আজ একজন নারী এবং একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে কৃতজ্ঞ। যারা আমার এই সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনা যদি আমার স্কুল বা কলেজে পড়াকালীন ঘটত, তবে এই অবস্থা আমি কীভাবে সামাল দিতাম, তা কল্পনাও করতে পারছি না।’
রাশমিকার পরবর্তী ছবি ‘অ্যানিমেল’। তাতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। সন্দীপ রেড্ডি পরিচালিত এ ছবি আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। এটি প্রযোজনা করেছেন গুলশান কুমার।
মন্তব্য করুন