কাশ্মীরের পেহেলগাম, যেখানে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নদী বয়ে চলে শান্তির সুরে, সেখানেই গত মঙ্গলবার নেমে এলো এক বিভীষিকাময় অন্ধকার। সশস্ত্র গোষ্ঠীর বর্বর হামলায় প্রাণ হারালেন ২৬ নিরীহ পর্যটক। আরও একবার রক্তে ভিজে গেল শান্তির ভূমি। এ খবরে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে শোকের ছায়া, নিন্দায় মুখর সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিরাও। এবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে বিচার চাইলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শাহরুখ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, পেহেলগামে যে বিশ্বাসঘাতকতা, অমানবিক ও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তাতে দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশের ভাষা নেই।
তিনি আরও লেখেন, এই কঠিন সময়ে, শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য গভীর সমবেদনা জানাই। এই পরিস্থিতিতে আমরা যেন একটি জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকি, শক্তিশালী হই এবং এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার পাই।
এদিকে ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, শাহরুখের বাবা তাকে ইস্তাম্বুল, প্যারিস আর কাশ্মীর এই ৩টি স্থান ঘুরে দেখতে বলেছিলেন। সেই সঙ্গে তার অনুরোধ ছিল, প্রথম দুটো জায়গা তার ছেলে নিজের মতো করে ঘুরে দেখতেই পারে, কিন্তু কাশ্মীর নয়।
অভিনেতার বাবা তাকে আর্জি জানিয়েছিলেন ‘আমি তোমায় কাশ্মীর ঘুরে দেখাব। তুমি আমার সঙ্গে যেও’। কারণ অভিনেতার দাদি জন্মসূত্রে কাশ্মীরি। তাই তার বাবা ভূস্বর্গকে হাতের তালুর মতো চিনতেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন শাহরুখ। বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে পারেননি তাই। আর এরপর কাশ্মীরে পা রাখেননি তিনি।
কিন্তু ২০১২ সালে যশ চোপড়া বানান ‘যাব তাক হ্যায় জান’। প্রযোজককে তিনি বাবার মতোই সম্মান করতেন, ভালোবাসতেন। তাই যশ যখন তাকে বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে চলো। আমি তোমায় কাশ্মীর দেখাব’, তখন না করতে পারেননি তিনি। আর সেই প্রথম শাহরুখের কাশ্মীর যাওয়া।
এদিকে বর্তমানে আসন্ন সিনেমা ‘কিং’র কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন শাহরুখ খান।
মন্তব্য করুন