নির্বাচন কমিশন (ইসি) লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন- ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর দরবারে অনেক শোকরিয়া! অবশেষে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফেরত পেলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা আমার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যে। আমার নির্বাচনী এলাকা লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের জনগণের প্রতি সালাম, অনেক কৃতজ্ঞতা এবং সম্মান জানাচ্ছি।’
পবন বলেন, আমার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠির কার্যক্রম হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আমার আর কোনো বাধা নেই। নির্বাচনী এলাকার জনগণ আমার পাশে ছিল। সবার দোয়ায় আমি হাইকোর্টে ন্যায়বিচার পেয়েছি।
এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিত বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবন গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে জেলা প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোন করে অকথ্য, আপত্তিকর ও অশোভন বক্তব্য দেন। এ ছাড়াও রিটানিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে তিন দিনের মধ্যে বদলিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন।
এরপর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে জেলা প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন। জেলা নির্বাচন অফিসারের তদন্তে ঘটনার সত্যতা মেলে। এর ফলে ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংঘটনের প্রমাণ পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবনের প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি।
মন্তব্য করুন