গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি কোনো ভোট হচ্ছে না। সেটি হচ্ছে প্রতিবেশী দেশের স্পন্সর্ড নির্বাচন। ভোটের নামে সরকার নতুন এক নাট্যমঞ্চের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই নাটকে জনগণ সাড়া দিবে না। আমরা গণঅধিকার পরিষদ দেশের জনগণকে আহ্বান জানাই, আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারি পরিবারকে সময় দিন, পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আগামী ৭ জানুয়ারি আওয়ামী ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জনের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পুলিশ কর্মসূচি পালনে বাধা দেয় বলে সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পরে তারা পল্টন মোড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়, কিছুক্ষণ পরে পল্টন মোড়েও পুলিশ বাধা দেয় এবং মারমুখী অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে পল্টন এলাকায় ভোট বর্জনের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় ফারুক হাসান আরও বলেন, সরকারের অবৈধ এমপি-মন্ত্রী এবং আমলাগণ জনগণকে নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার জন্য। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, জনগণকে ভয়ভীতি দেখালে পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না। ৭ জানুয়ারি কোনো ভোট হচ্ছে না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবস। ফেলানী হত্যা দিবসে অবৈধ সরকারের ভোট জনগণ রুখে দিবে। ৭ জানুয়ারি কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। অবৈধ সরকারকে লালকার্ড দেখান। আমরা এই সরকারকে আর কোনো সহযোগিতা করব না। এই সরকারের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই, জনগণের ভোটে এরা নির্বাচিত নয়, তাই আমরা এ রকম একটি ভোটচোর সরকারকে সহযোগিতা করতে পারি না।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা তারেক রহমান, শামসুদ্দিন, জিয়াউর রহমান, আরিফ বিল্লাহ, মোজাম্মেল মিয়াজি, মহানগর উত্তরের আবদুল্লাহ, শফিকুল ইসলাম রতন, নাজমুল হোসাই, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক ইমামউদ্দিন, ফায়সাল, হালিমা আক্তার, যুব অধিকার পরিষদের আহবায়ক সাকিব হোসাইন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মোল্লা রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন