`দশ বছর চুপ ছিলাম আজকে কথা বলা শুরু করলাম। আমি ভাইসা আসি নাই, আমার বাড়ি আশুলিয়া। আমি লাল মাটির সন্তান। আগামী ৭ তারিখে আমরা রেডি আছি তোমরা আইয়োও।' দীর্ঘ ১০ বছর পর সাভারে এসে নিজ নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন শেষে নিজ বক্তব্যে এভাবেই এসব কথাই বলছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ।
এ সময় তিনি বলেন, আমার বাবা দুইবার এই এলাকায় নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ভালোবেসে তিনবার নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন এবং ২০০৮ সালে দেশের সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছিলেন। আমি কখনো ভাবিনাই আমাকে এভাবে এখানে আসতে হবে। আমি ভেবেছিলাম আমি নৌকা নিয়েই আবার আসব। আমি দশ বছর কোনো কথা বলি নাই। দশ বছর প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, ভাই তুই চুপ, তুই কোনো কথা বলিস না। আমি তোরটা দেখব। আপা বলেছেন, আমি চুপ থেকেছি। আজকে ২০২৩ আমার বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন, 'আসো কে জনপ্রিয় প্রমাণ করো' তাই তো আমি এসেছি। প্রধানমন্ত্রী এতদিন চুপ থাকতে বলেছিলেন, এবার বললেন মুখ খুলো। তাই তো মুখ খুললাম। আমি তো নৌকাই আছি খালি মার্কাটা ভিন্ন সেটা হইল ঈগল। ঈগলও শেখ হাসিনার মার্কা। আপনারা যদি এই মার্কাটাকে জিতায়া দেন তাইলে ফুলের মালাটা নিয়া তো প্রধানমন্ত্রীর গলাতেই পরামু।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের কিছু প্রশ্ন করতে চাই, রানা প্লাজা কি আমি ফালাইছি? রানা প্লাজা কি আমি বানাইছি? ওইটার মালিক কি আমি? ওইখানে আমার কি কোনো ব্যবসা ছিল? ওই মার্কেটটা কি আমার শাসন আমলে বানানো হয়েছিল? তাহলে কেন আমাকে দোষারোপ করা হইল? আমি মানুষ না? আমার কষ্ট লাগে না? আমার জন্য মায়া লাগে না আপনাদের? আমি কি রোহিঙ্গা? আমার বাড়ি আশুলিয়া। আমি লাল মাটির সন্তান, আমি আপনাদের সন্তান। আমার ইজ্জত মানে আপনাদের ইজ্জত। আপনারা বুকে হাত দিয়া কন আমি যখন এমপি ছিলাম তখন কোনোদিন কি আপনাদের অসম্মান করছি? কেউ কোনো কাজে আসলে তার সাথে কি খারাপ ব্যবহার করছি? আমার পক্ষে যতটুকু করার করেছি। তাই আমি আজকে দাবি নিয়ে বলতেছি, আপনারা দয়া কইরা আমার নির্বাচনটা কইরা দেন।
এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং মুরাদের নির্বাচনী প্রচারের স্থানে গিয়ে জানা যায়, নবম জাতীয় নির্বাচনের পর অন্তত ১০ বছর পরে আজই প্রথম মুরাদ জংয়ের নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পিকআপ, ট্রাক, ও মোটরসাইকেলযোগে হাজার হাজার নেতাকর্মী সাভারের শিমুলতলায় জড়ো হতে থাকেন। যে কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিপিএটিসি বাসস্ট্যান্ড থেকে বলিয়ারপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে সাভার ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন (প্রশাসন) হোসেন শহীদ চৌধুরী বলেন, এক প্রার্থীর প্রচার থাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় কয়েক কিলোমিটারের মতো সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মন্তব্য করুন