দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছাবে কি না সেটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কীভাবে করবে সেটি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যাপার। নির্বাচন সম্পন্ন করার একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এই সময়সীমার ভেতরে থেকে ভোট সম্পন্ন করতে হবে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে ভোট কিছুদিন পেছানো দরকার সেটি তারা করতে পারে। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কিছু বলার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির বৈঠক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি ওই বৈঠকে ছিলাম না। আমি অন্য একটা কাজে ছিলাম। কী আলাপ হয়েছে আমি জানি না।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, তৃণমূল বিএনপি নতুন জোট। তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারে। এখনকার রাজনৈতিক তৎপরতার রেজাল্ট দেখতে পারবেন ৩০ নভেম্বরের পর।
মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্যন্ত কী হচ্ছে সেদিকে দৃষ্টি রাখার কথা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে কার জোট হচ্ছে সেই সমীকরণগুলো বুঝতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর; বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি তারিখ ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। ভোট হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।
মন্তব্য করুন