রাজশাহীর বিনোদপুর বাজারে দোকান খুললেও নেই ‘মূল ক্রেতা’ শিক্ষার্থীরা

শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে দোকান খুললেও নেই শিক্ষার্থী ক্রেতা।
শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে দোকান খুললেও নেই শিক্ষার্থী ক্রেতা। ছবি : কালবেলা

স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের জেরে সপ্তাহখানেক হলো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করা রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের দোকানগুলো খুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এসব দোকানের ‘মূল ক্রেতা’ সেই শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি বিনোদপুর বাজারে কেনাকাটা করতে।

দোকানিরা বলছেন, ঘটনার ছয় দিন পার হয়েছে। আর বাড়িতে বসে থাকা যাচ্ছে না। ব্যবসার সবকিছু বন্ধ, সামনে রোজা তাই দোকান খুলেছেন তারা। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকজন ছাড়া শিক্ষার্থী ক্রেতার খুব একটা দেখা মিলছে না।

এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে বিনোদপুর বাজার বয়কটের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা। আগে এই বাজারের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশ নিত্যদিনের বাজার করে থাকলেও আর তারা সেখানে যাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ স্টেশন বাজার ও কাজলা বাজার থেকে সবকিছু কিনছেন বলে জানা যায়।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিনোদপুর বাজারে দুই শতাধিক দোকানের মধ্যে প্রায় ১০০ দোকান খুলেছে। এর মধ্যে সবজি, মাছ ও মুরগির বাজার রয়েছে। বাজারের ভেতরের মোড়গুলোর দোকানগুলোও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বাজারের উত্তর পাশের দোকানগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলো এখনো খোলেনি। এ ছাড়া যেসব দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে সেগুলো এখনো ঠিক করা হয়নি।

শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে দোকান খুললেও নেই শিক্ষার্থী ক্রেতা।
রাবিতে সংঘর্ষে ভিসি ও ছাত্র উপদেষ্টা দায়ী

কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আজম আলী প্রথম দোকান খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের পর আজ দোকান খুলেছি। কিন্তু ক্রেতা নেই। এখানের বেশিরভাগ ক্রেতা শিক্ষার্থী ছিল, তারা বাজারে আসছে না। শিক্ষার্থীরা না আসলে আগামী দিনে বড় লোকসান হবে।’

মুদি দোকানি আসলাম আলী বলেন, ‘গতকালও দোকান খুলেছিলাম। কিন্তু ক্রেতা নেই। আমাদের মূল ক্রেতা শিক্ষার্থী। তারাই আসছে না। ফলে বেচাকেনা নেই।’

শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে দোকান খুললেও নেই শিক্ষার্থী ক্রেতা।
শিবির সন্দেহে নির্যাতনের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেলের ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত

বিনোদপুর বাজার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগে যে রকম সম্পর্ক ছিল সেটি ফিরে আসুক। আমরা মেয়রের সঙ্গে মিটিং করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমি দোকানদারদের দোকান খুলতে বলেছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন,‘বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদারে মেস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ ছাড়া আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণের নিশ্চয়তা দিয়েছি। আর সম্পর্ক উন্নয়নে বিনোদপুরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা আছে।’

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com