কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুবিতে বিতর্কিত সেই নিয়োগকে বৈধতা দিতে অভিন্ন নীতিমালা পাস

কুবিতে বিতর্কিত সেই নিয়োগকে বৈধতা দিতে অভিন্ন নীতিমালা পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কিত সেই নিয়োগকে বৈধতা দিতে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশিকা সিন্ডিকেটে অনুমোদন করিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। গত সোমবার অনুষ্ঠিত ৮৬তম সিন্ডিকেটে এ নির্দেশিকা অনুমোদন করানো হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ইউজিসির নির্দেশিকায় বলা আছে, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় নির্দেশিকায় উল্লেখ করা যোগ্যতার চেয়ে অধিকতর যোগ্যতার শর্ত আছে, তাদের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন আবশ্যক নয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ শর্তাবলী অধিকতর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কিংবা অন্য কোনো সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘উপাচার্য নীতির কথা বলে নিজেই বারবার নিয়ম ভঙ্গ করছেন। সেই বিতর্কিত নিয়োগকে বৈধতা দিতে কোথাও আলোচনা না করেই বিষয়টি সরাসরি সিন্ডিকেটে উঠিয়েছেন। এখান থেকেই বোঝা যায় উপাচার্যের দুরভিসন্ধি রয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, ‘নির্দেশিকাটি আগেই শিক্ষক সমিতির সভায় আলোচনা হয়েছিল। আমাদের শর্তাবলী নির্দেশিকার চেয়ে উচ্চতর হওয়ায় বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়ে যায়। শিক্ষকরা শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে এসেছেন। এখন তাদের না জানিয়েই উপাচার্য বিষয়টি পাস করিয়েছেন। তিনি ভালো নিয়োগ ও গবেষণার কথা বলে শুরু থেকেই শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া উপাচার্য নীতিমালা পাস করার আগেই এর আলোকে নিয়োগ দেওয়াটা কী করে বৈধ হয়েছে?’

এদিকে মার্কেটিং বিভাগের ওই প্রার্থীর বিষয়ে নিয়োগ বোর্ডে এক সদস্য আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) দিলেও বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন না করেই উপাচার্য তার নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য। নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রার্থীর বিষয়ে আপত্তি এলে তার নিয়োগ চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটে জানাতে হয়। সিন্ডিকেট বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়। তবে উপাচার্য সেসবে বিরত ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগের আলোচনায় সবকিছু ঠিকঠাকমতো হয়েছে বলেই উপাচার্য বিষয়গুলো অনুমোদন করিয়েছেন। নোট অব ডিসেন্টের বিষয়ে সভায় কোনো আলোচনাই উঠেনি।’

এসব বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও যথারীতি সাড়া পাওয়া যায়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাটোরে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

ছাত্র ইউনিয়নের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত 

ভোট দেওয়ার শর্তে কোরআন ছুয়ে নিতে হবে টাকা, কল রেকর্ড ভাইরাল

‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম ভয়াবহ সঙ্কটকাল পার করছে’

 ছেলের কিল-ঘুষিতে শিক্ষক পিতার মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ১০ বছর আজ

‘ভয়াল ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১ স্মরণ ও প্যারাবন নিধন প্রতিবাদ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

শাহ আমানতে ৯০ হাজার দিরহামসহ যাত্রী আটক

আবুধাবিতে চালু হচ্ছে উড়ন্ত ট্যাক্সি, ৩০ মিনিটেই দুবাই

গরু চোরাচালানে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি

১০

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ চায় খেলাফত মজলিস

১১

বাংলাদেশ এসএসসি ৯৮ ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু

১২

চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় গেলেন আমির খসরু 

১৩

উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র নিয়ে চীনা বন্দরে রুশ জাহাজ

১৪

বর্জ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় নিহতের ঘটনায় ব্যবস্থা : তাপস

১৫

বর্ণিল আয়োজনে রূপায়ণ সিটি উত্তরায় সামার ফেস্ট-২০২৪ অনুষ্ঠিত

১৬

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা 

১৭

বিসিএস পরীক্ষার্থীর আঁকুতি / ‘পরীক্ষা দিতে না পারলে আমি মরে যাব স্যার’

১৮

শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১৯

ইউরোপজুড়ে চীন-রাশিয়া ও আরব রাষ্ট্রের ফাঁদ

২০
*/ ?>
X