মোতাহার হোসেন, ঢাবি
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২২, ০৩:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কলাভবনের পাশেই দিনে অর্ধ লাখ টাকার ফটোকপি

কলাভবনের পাশেই দিনে অর্ধ লাখ টাকার ফটোকপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নির্ভর করে ফটোকপির ওপর। ফলে ফটোস্ট্যাটের ব্যবসা জমজমাট এখানে। শুধু কলাভবনের পাশের ছাউনির (শ্যাডো) দোকানগুলোতে এক দিনেই প্রায় ৫০ হাজার টাকার ফটোকপি হয়। পরীক্ষার মৌসুমে এটা আরও বাড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, গত কয়েক দশকেও সিলেবাস বদলায়নি বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের। এগুলোতে চলছে শিট ফটোকপিভিত্তিক পড়াশোনা। শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর তৈরি করা এক শিট দিয়েই বছরের পর বছর পরীক্ষা চলছে। বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের পাশের দোকান, হলের দোকান, নীলক্ষেত, পলাশী, বকশীবাজারের দোকানে এসব শিট ফটোকপি করা হয়। মূলত, বছরের পর বছর সিলেবাস পরিবর্তন না হওয়ার কারণেই এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে শিক্ষা-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিভাগের বইগুলো অনেক বড় বড়। সেজন্য আমরা শিট আকারে বই পড়ি। আবার পরীক্ষার আগে অনেক প্রশ্নের উত্তরের শিট তৈরি করে একে অন্যকে দিয়ে থাকি। প্রতি সেমিস্টারে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার ফটোকপি করতে হয়।

ফটোকপি দোকান মালিকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অধিকাংশ দোকানে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ হাজার টাকার বই ও শিট ফটোকপি হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তৈরি করা শিট। কলাভবনের পাশের ছাউনিতে ছয়টি ফটোকপির দোকান। চাহিদা বেশি হওয়ায় প্রতিটি দোকানে ৩ থেকে ৪ জন কাজ করেন। এ ছয়টি দোকানেই প্রতিদিন অর্ধ লাখ টাকার ফটোকপি হয়। এ ছাড়া, প্রতিটি হলে অন্তত ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার শিট ফটোকপি হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ফটোকপি দোকানের কর্মচারী আরিফ হোসেন বলেন, প্রতিদিন আমাদের দোকানে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকার শিট বিক্রি হয়। কলাভবনের নিচের প্রতিটি দোকানে একই অবস্থা। ফটোকপির চাপ আছে হলগুলোতেও।

মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ফটোকপি দোকানের কর্মচারী রাকিবুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন বই, শিট ও অন্যান্য কাগজপত্র মিলিয়ে এখানে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকার ফটোকপি হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ কালবেলাকে বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার আনা প্রয়োজন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিছু পরিবর্তন আনা আবশ্যক। একটি একাডেমিক পরিকল্পনা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ও বিশিষ্ট গবেষক ড. হাসিনা খানকে আহ্বায়ক এবং ড. হাসান বাবুকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার কথা। সেখানে সব বিষয়েই যুগোপযোগী পরামর্শ ও সুপারিশ থাকবে বলে আশা রাখি। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব বলে মনে করি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুক্তিযোদ্ধা বাবার ঋণ পরিশোধে কিডনি বিক্রি করতে চান ছেলে

বিদ্যুৎ বিল বেশি আসায় টেকনিশিয়ানকে হত্যা

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো অষ্ট-পরিষ্কার-সংঘদান সূত্রপাঠ ও জ্ঞাতিভোজন 

মসজিদে আজান দিল নায়ক সাইমনের সন্তান

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা / প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন নয়

সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস 

গাজায় অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুটি মারা গেছে

জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউয়ের নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা

জাতীয় লজিস্টিক নীতি প্রণয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে বিল্ড ট্রাস্টি বোর্ডের অভিনন্দন

বিএনপি ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না : ফারুক

১০

অস্ত্র সমর্পণে যে শর্ত দিল ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

১১

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর

১২

বাচ্চাদেরও পু‌ড়ি‌য়ে মারতে চাচ্ছে সরকার: রিজভী

১৩

তীব্র তাপমাত্রার দায় এড়াতে পারে না সরকার : সাইফুল হক

১৪

মুক্তিযোদ্ধাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি 

১৫

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্বেচ্ছাচারিতামূলক : টিআইবি

১৬

গাজীপুরে নয়, ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষার দাবি শিক্ষার্থীদের

১৭

শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

১৮

বিয়ে না দেওয়ায় মাকে জবাই করে হত্যা

১৯

এখনো উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গণগ্রেপ্তারেও অটল শিক্ষার্থীরা

২০
*/ ?>
X