কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা ও নওয়াব ফয়জুননেছা হলে টানা দুই মধ্য রাতে গ্যাসের লাইনে লিকেজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে। ফলে গত দুই রাত হলের বাইরে অবস্থান করেছেন ছাত্রীরা।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গ্যাসের তীব্র গন্ধে আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ সময় তারা হল থেকে বেরিয়ে এলে পরবর্তীতে গ্যাসের মূল সংযোগ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মীরা। এর পর তারা আবারও হলে প্রবেশ করেন। পর দিন গতকাল শনিবার গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মীরা এসে নিরীক্ষা করে সংযোগে ছিদ্র না পেয়ে সংযোগ পুনরায় চালু করেন।
এদিন রাত সাড়ে ১১টায় আবারও গ্যাসের গন্ধ পেয়ে আতঙ্কে হল থেকে বেরিয়ে যান তারা। এরপর আবারও মূল সংযোগ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাত ১২টার দিকে হলে প্রবেশ করে গ্যাসের গন্ধ পেয়ে আবারও বাইরে বেরিয়ে আসেন তারা।
ছাত্রীদের অভিযোগ, গত ৩১ জানুয়ারি হলের সাধারণ সভায় বিষয়টি জানানোও হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, ‘আমরা হল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও তারা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এখানে প্রায় সাড়ে তিনশ ছাত্রীর জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে প্রশাসন। যে কোনো সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হল প্রশাসন কি এই দায়ভার নেবে?’
শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বলেন,‘ বাখরাবাদ গ্যাসের কর্মীরা এসে চেক করে গেছে। তারা কোনো ধরনের সমস্যা খুঁজে পায়নি। রোববার এসে প্রতিটি জয়েন্ট চেক করবে তারা। আপাতত মূল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।’