প্রভাষ আমিন
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

হিরো আলমকে ‘স্যার’ ডাকতে কাদের সমস্যা

হিরো আলমকে ‘স্যার’ ডাকতে কাদের সমস্যা

চানাচুর বিক্রি থেকে সিডি বিক্রি, তারপর ডিশ ব্যবসা, তারপর শখে মিউজিক ভিডিও বানানো। তারপর ইতিহাস। আমরা সবাই মিলে বগুড়ার এক গ্রামের আশরাফুল আলমকে হিরো আলম বানিয়ে দিয়েছি। এখন তিনি অভিনয় করছেন, গান গাইছেন, আবৃত্তি করছেন, বই লিখছেন। সমস্যা হলো তিনি যা করছেন, তার কোনোটাই করার যোগ্যতা তার নেই। তার শারীরিক গঠন, চেহারা কোনোটাই হিরোসুলভ নয়। গলাও গান বা আবৃত্তির উপযুক্ত নয়। তারপরও দিনের পর দিন তিনি এটা করে যাচ্ছেন কেন? কারণ এটাই এখন তার পেশা, রুটি-রুজি। এই যে আমরা হিরো আলমকে গালি দিই, এটাই তার লাভ। আমার ধারণা, হিরো আলম সব সময় প্রার্থনা করেন, মানুষ যেন তাকে আরও বেশি করে গালি দেয় এবং ট্রল করে। যত গালি, তত টাকা। হিরো আলম জানেন পজিটিভ অর্থে আলোচিত হওয়া বা হিরো হওয়ার কোনো সুযোগ বা যোগ্যতা তার নেই। তাই হিরো আলম নেগেটিভ হিরো হয়েই খুশি। হিরো আলমের অবস্থা গ্রামের সেই নাপিতের মতো। না জেনে চুল কাটার পাশাপাশি অপারেশনও করে ফেলত। কিন্তু তাকে অপারেশন কীভাবে করতে হয়, সেটা শেখানোর পর তিনি আর অপারেশন করেননি ভয়ে। হিরো আলমও গান শিখলে আর গাইবেন না ভয়ে। আর তখন তার গান কেউ শুনবেও না। হিরো আলম আসলে হিরো নয়; ভাঁড়, জোকার। হিরো আলম আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, এই আক্ষেপে অনেকে তাকে ঠেকানোর উপায় খুঁজছেন। হিরো আলমকে ঠেকানোর একটাই উপায়, তাকে না দেখা এবং গালি না দেওয়া। কারণ হিরো আলম যা করছে তার কোনোটাই বেআইনি নয়। পুলিশ ডেকে নিয়ে মুচলেকা আদায় করে আইনের অপব্যবহার করেছে। ভুল সুরে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া বা পুলিশের পোশাক পরে অভিনয়–কোনোটাই অপরাধ নয়। আগেও অনেকে করেছে। কিন্তু মুচলেকা দিতে হয়েছে শুধু হিরো আলমকে। সেই পুলিশি মুচলেকায় হিরো আলমের ক্ষতি হয়নি, লাভ হয়েছে। বিবিসি তাকে নিয়ে বড় রিপোর্ট করেছে। আগেই বলেছি, তাকে ঠেকানোর একটাই উপায়—উপেক্ষা। ধরুন হিরো আলম বেসুরো গলায় রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে ইউটিউবে আপ করল এবং সেটার ভিউ হলো শূন্য। তাহলে কিন্তু হিরো আলম আর রবীন্দ্রসংগীত গাইবে না। কারণ, সেটা লাভজনক নয়। যত ভিউ, তত টাকা। তো এই ভিউগুলো কে দেয়? আপনি দেন। আপনি দেখেন এবং ট্রল করেন। হিরো আলম আপনার ভিউ থেকে পাওয়া টাকা নিয়ে নেয় এবং ট্রলটাকে আশীর্বাদ হিসেবে মাথায় তুলে নেয়। কারণ ভিউ ফুরিয়ে গেলেই হিরো আলমের বেলুন ঠুস।

সংস্কৃতি অঙ্গন কলুষিত করে হিরো আলম এখন এসেছেন রাজনীতির মাঠে। তাতেও আমার আপত্তি নেই। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। আমি হিরো আলমের পক্ষেও নই, বিপক্ষেও নই। একদম শুরুর দিকে দু-একটি গান দেখলেও আমার ভিউ থেকে হিরো আলম কোনো টাকা পাননি। আমি তাকে নিয়ে কখনোই কিছু লিখিনি। এখন লিখছি, কারণ বিষয়টি নিছক আর গানবাজনায় সীমাবদ্ধ নেই। হিরো আলম এখন উঠে এসেছেন রাজনীতির বৃহত্তর পরিসরে। তাও আমি আলোচনা করতাম না, করছি কারণ আমার মনে হয় হিরো আলমের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। হিরো আলমকে আমি পছন্দ করি না। আমি মনে করি হিরো আলমদের বিকাশ আমাদের শিল্প-সাহিত্য-রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর। সার্বিকভাবে হিরো আলমরা আমাদের মনের অবনমন ঘটান। কিন্তু বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে তার নির্বাচন করার, গান গাওয়ার, বই লেখার অধিকার আছে। আমার ভালো না লাগলে আমি তাকে ভোট দেব না, তার গান শুনব না, তার বই পড়ব না; কিন্তু তার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হলে প্রতিবাদ করব।

বলছিলাম হিরো আলমের রাজনীতিতে আসার কথা। এবার নয়, তিনি আসলে চার বছর আগেই রাজনীতিতে এসেছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনের দিন মার খেয়ে হিরো আলম আলোচনায় থাকলেও মাত্র ৬০২ ভোট পাওয়ায় আলোচনাটা আর প্রলম্বিত হয়নি। তবে এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনের উপনির্বাচন ছিল একতরফা ও নিরুত্তাপ। সেই নিস্তরঙ্গ নির্বাচনে কিছুটা আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী—বিএনপি থেকে পল্টি মারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া আর বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত হিরো আলম ছিলেন সবার বিনোদন, নিছকই ভাঁড়। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর সবার টনক নড়ে। হিরো আলম হেরেছেন, তবে বগুড়া-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থীর সঙ্গে তার ব্যবধান ছিল মাত্র ৮৩৪ ভোট। টনক নড়ে, কারণ হিরো আলম প্রায় সংসদে চলেই গিয়েছিলেন। অনেকের কথা শুনে মনে হচ্ছিল, হিরো আলম এমপি হলে বুঝি মহাপ্রলয় ঘটে যেত। কানের কাছ দিয়ে গুলি গেছে, অল্পের জন্য সংসদ-সংবিধান রক্ষা পেয়েছে। তাদের কথা শুনে আমার একটু খটকা লাগল। হিরো আলম এমপি হলে কার কী ক্ষতি। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের সব নাগরিক সমান। আর বয়স ২৫ পার হলে বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। নির্বাচিত হলে সংসদ সদস্যও হতে পারবেন। সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্যতাগুলোও সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে—সংবিধানে বর্ণিত কোনো অযোগ্যতাই হিরো আলমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না।’ এখন হিরো আলমের চেহারা খারাপ, হিরো আলম অশিক্ষিত, হিরো আলম শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে পারে না, হিরো আলম ভুল সুরে রবীন্দ্রসংগীত গায়—এসব ‘অপরাধে’ তার এমপি হওয়া ঠেকানোর কোনো সুযোগ নেই, সংবিধান সে সুযোগ কাউকে দেয়নি। কিন্তু বারবার হিরো আলমকে ঠেকানোর চেষ্টা হয়েছে।

সংসদ হলো আইনসভা। সংসদ সদস্যদের মূল কাজ হলো আইন প্রণয়ন করা। আর সেটা করতে হলে জনগণের প্রতি, দেশের প্রতি কমিটমেন্ট থাকা যেমন জরুরি; তেমনি সংবিধান, কার্যপ্রণালি বিধি সম্পর্কে জানাটাও জরুরি। ধরে নিচ্ছি, হিরো আলমের মধ্যে এসব যোগ্যতা নেই। কিন্তু সংবিধান তো বাংলাদেশের নাগরিক আর ২৫ বছর বয়স ছাড়া এমপি হওয়ার জন্য আর কোনো বিশেষ যোগ্যতার কথা বলেনি। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তিনিই সংসদ সদস্য হবেন—বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় এটাই শেষ কথা। যতক্ষণ আপনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবেন, ততক্ষণ জনগণের রায় মানতে হবে। হিরো আলম অশিক্ষিত হতে পারে, চেহারা-সুরত খারাপ হতে পারে। কিন্তু তিনি ঋণখেলাপি নন, ব্যাংকের টাকা মেরে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি কেনেননি, চাঁদাবাজি করেননি, ধান্ধাবাজি করেননি, দখলবাজ নন। তাহলে তিনি এমপি হলে সমস্যা

কী? হিরো আলম এমপি হলে সংসদ ছোট হবে কেন? ইয়াবা সম্রাট এমপি হতে পারলে হিরো আলম পারবেন না কেন? হিরো আলমের চেয়ে অনেক খারাপ মানের সংসদ সদস্য আমি দেখেছি।

আমার বিবেচনায় হিরো আলমের সবচেয়ে বড় গুণ লেগে থাকা। শত ট্রল, শত তাচ্ছিল্য সয়েও তিনি মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন এবং সুযোগ পেলে পাল্টা জবাব দেন। ওবায়দুল কাদেরকে যে জবাবটা দিয়েছেন, তা সারা জীবন মনে রাখবেন তিনি। হিরো জিরো হয়ে গেছে, এর জবাবে তিনি বলেছেন, হিরোরা কখনো জিরো হয় না। হিরো আলম ওবায়দুল কাদেরকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, ‘সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্যার কথায় কথায় বলেন খেলা হবে। আমি ওবায়দুল কাদের স্যারকে বলতে চাই খেলার নাকি লোক খুঁজে পান না। খেলা আপনাকে সবার সঙ্গে খেলতে হবে না। আপনি আমার সঙ্গে খেলার আয়োজন করেন। আমাকে অন্যায়ভাবে যে আসন থেকে হারিয়ে দেওয়া হলো সেই আসনে আসুন। আপনি আপনার দল থেকে দাঁড়ান আর আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াব। প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে, কোনো মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো হবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। দেখি আপনি কত ভোট পান আর আমি হিরো আলম কত ভোট পাই।’ ওবায়দুল কাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে একটু পিছিয়ে এসে বলেছেন, ‘আমি হিরো আলমকে কিছু বলিনি। মির্জা ফখরুলের কথার জবাব দিয়েছি মাত্র।’ তবে ওবায়দুল কাদের কী বলেছেন, সেটা সবাই শুনেছেন। ওবায়দুল কাদেরের কথার জবাবে হিরো আলম আরও বলেছেন, ‘ভোটে দাঁড়ানোর সাংবিধানিক অধিকার সবার আছে। যদি অযোগ্যদের ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার না থাকে তাহলে আমরা যখন মনোনয়পত্র কিনলাম, তখন সেই কথাটা বললেন না কেন? যাদের মামা-খালু নেই, যাদের চেহারা আপনাদের মতো সুন্দর নয়, তারা ভোটে দাঁড়াতে পারবে না। তখন সে কথা বললেই তো আমি ভোটে দাঁড়াতাম না।’

হিরো আলম বলেন, ‘আমরা কোনো অন্যায় করলে বিচার হয়। আর তিনি যে আমাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলে অন্যায় করলেন তার বিচার কে করবে? তিনি কীভাবে বলেন আমি সংসদে গেলে সংসদ ছোট হবে? দেশের আইন সবার জন্য সমান। তিনি একজন মন্ত্রী হয়ে দেশের আমার মতো একজন নাগরিককে ছোট করতে পারেন না। তিনি আমাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন, অন্যায় করেছেন।’ এমন অন্যায় আমরা অনেকেই করি, যার কোনো বিচার হয় না।

হিরো আলমকে আমরা যতই ঠেকানোর চেষ্টা করি, ততই তিনি এগিয়ে আসেন। পুলিশ ডেকে নিয়ে মুচলেকা আদায়ের পর বিবিসি তাকে নিয়ে রিপোর্ট করেছে। ৮৩৪ ভোটে হেরে যাওয়ার পর এখন মূল ধারার গণমাধ্যমের নজরও তার দিকে। দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী গণমাধ্যম প্রথম আলো নিয়মিত হিরো আলমের সব সংবাদ প্রকাশ করছে। সম্প্রতি জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে খালেদ মুহিউদ্দিনের টকশোতে হিরো আলম নতুন রাজনৈতিক দল করার আকাঙ্ক্ষার কথা বলেছেন এবং পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। তবে আমার কাছে এসবই বাগাড়ম্বর মনে হয়েছে। উপনির্বাচনে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পেলেও এটা আসলে হিরো আলমের ভোট নয়। উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকলেও ভোটাররা তো ছিল। তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন, সেটা হিরো আলম পেয়েছেন। আবার বগুড়া-৪ আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল জাসদের রেজাউল করিম তানসেনকে, যিনি মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ অংশের ভোটও হিরো আলম পেয়েছেন। তাতেই ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তার ভোটের বাক্স। আর প্রায় ২০ হাজার ভোট হিরো আলমের মধ্যে এক ধরনের ফাঁকা আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিকে হটিয়ে তিনি নতুন দল করতে চান। তবে আমার ধারণা, হিরো আলমের নিট ভোট ৬০২, যেটা তিনি ২০১৮ সালে পেয়েছিলেন।

উপনির্বাচনের দুপুরে বগুড়া-৬ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে হিরো আলম বলেছিলেন, ‘বগুড়া-৬ আসনের কেন্দ্র সব দখল হয়্যা গ্যাচে। ডিসি-এসপিক কয়্যাও কোনো কাম হচ্চে না। সদরের আশা সব শ্যাষ।’ তবে তার আশা ছিল, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বগুড়া-৪ আসন থেকে তিনি এমপি হবেন। সেখানেও হেরে গিয়ে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন। তার দাবি নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও ফলাফল ঘোষণা সুষ্ঠু হয়নি। তিনি বলেছেন, ‘কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চায় না। তারা ভাবে আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে, হিরো আলমকে স্যার বলে সংবোধন করতে হবে। এ জন্য আমাকে জিততে দেয়নি।’ নির্বাচন কমিশন সচিব থেকে মির্জা ফখরুল আর ওবায়দুল কাদেররা যেভাবে তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন, তাতে তার এই অভিযোগ একেবারে অসত্য মনে হয় না। আর ৮৩৪টি ভোট পেলেই হিরো আলম সংসদে চলে যেতেন। তখন নির্বাচন কমিশন সচিবসহ অনেককেই তাকে স্যার বলতে হতো। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী সংসদ সদস্যের স্থান সিনিয়র সচিবদেরও ওপরে। আসলেই হিরো আলমকে ‘স্যার’ ডাকতে অনেকেরই অসুবিধা হতো।

শেষ বিচারে আমি হিরো আলমকে অপছন্দই করি। আমি চাইব না, একজন জোকার সংসদ সদস্য হোক। আমার এলাকা থেকে নির্বাচন করলে, আমি কখনোই তাকে ভোট দেব না। নতুন দল করলে, আমি তার বিরোধিতা করব। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী হিরো আলমের রাজনৈতিক দল করার, নির্বাচন করার, মতপ্রকাশের, ভাবপ্রকাশের, চিন্তার এবং কথা বলার স্বাধীনতা আছে। আমি চাই শুধু হিরো আলম নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের এই সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত থাকুক। কোথাও ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিবাদ করতে হবে সবাইকে।

লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আগামী ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা চুয়েট

ক্ষমতার জন্য বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পটকা ফাটানো নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

দেশের মানুষের প্রধান চাওয়া সুষ্ঠু নির্বাচন : ইসি হাবিব

শেরেবাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

দুর্ঘটনার কবলে ইসরায়েলি নিরাপত্তামন্ত্রী

প্রেমের জন্য দিনটি ভালো

নরসিংদীতে হিটস্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু 

রাজধানীর যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না

বৃষ্টিতে ভিজল সিলেট

১০

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১১

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১২

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

১৩

২৭ এপ্রিল : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৪

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ

১৫

নাটোরে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

১৬

ছাত্র ইউনিয়নের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত 

১৭

ভোটদানের শর্তে কোরআন ছুঁয়ে টাকা নেওয়ার কল রেকর্ড ভাইরাল

১৮

‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম ভয়াবহ সঙ্কটকাল পার করছে’

১৯

 ছেলের কিল-ঘুষিতে শিক্ষক পিতার মৃত্যু

২০
*/ ?>
X