এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নিয়ে যারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি, তাদের বোর্ড চ্যালেঞ্জ বা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ১২৭ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৪৪ জন। মোট ফল পরিবর্তন হয়েছে ২ হাজার ৭২৩ জনের।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে সব বোর্ডের পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার এই বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ৭০ হাজার ১২৯ জন। তারা মোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৮টি পত্রের ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৭২৩ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।
সদ্য প্রকাশিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। প্রকাশিত ফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষাবোর্ডগুলো। গত ১৩ মে থেকে এ কার্যক্রম চলে ১৯ মে পর্যন্ত।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা গেছে, পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তাদের কলেজে ভর্তির সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। তার পরিবর্তিত ফল অনুযায়ী তার কলেজ ভর্তির সুযোগ পাবে।
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনঃনিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের ৪টি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই ৪টি জায়গা কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।
মন্তব্য করুন