বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাক) কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফলে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী বরাবরের মতোই সফলতার সঙ্গে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। ৪৮তম বেফাক কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ফয়জিল কুরআন প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকারী প্রায় শতভাগ ছাত্র মুমতাজ (জিপিএ-৫) মানে উত্তীর্ণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত ফলাফলে সানাবিয়া উলইয়া (শরহে বেকায়া) থেকে নেয়ামাতুল্লাহ রিদওয়ান সারা দেশে প্রথম স্থান এবং সানাবিয়া আম্মাহ (কাফিয়া) থেকে লাবিব মাসরুর সারা দেশে প্রথম স্থান ও ওমর ফারুক সারা দেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। এছাড়াও মেশকাত, শরহে বেকায়া, কাফিয়া, নাহবেমির, ইবতিদায়ি ও হিফজে মেধাতালিকায় ৯৬ জন ছাত্র স্থান লাভ করার গৌরব অর্জন করেছে।
ফয়জিল কুরআনের এ গৌরবময় অর্জন বিগত বছরগুলোরই ধারাবাহিকতা। ফয়জিল কুরআনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতী মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম ফয়জিল কুরআনের এই ধারাবাহিক সফলতা সম্পর্কে বলেন, রাব্বে কারিমের অপার অনুগ্রহ ছাড়া এমন সফলতা ও সফলতার এমন ধারাবাহিকতা সম্ভব নয়। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে মাদরাসায় আবাসিক রাখার চেষ্টা করি। প্রত্যেক ছাত্রকে নিয়ে আমরা আলাদা আলাদা চিন্তা করি।
প্রত্যেকের সবলতা ও দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করি উল্লেখ করে তিনি বলেন, উস্তাদরা তাদের আরাম-বিশ্রাম বিসর্জন দিয়ে পরিশ্রম করেন। ছাত্রদের পরিশ্রম ও প্রস্তুতি নিশ্চিত করেন। ছাত্ররাও আনুগত্যের সাথে উস্তাদদের নির্দেশনা মেনে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আল্লাহর মেহেরবানি।
আমি আমার প্রতিষ্ঠান ও ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই আহ্বান করে তিনি বলেন, ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আশা করি, ওরা একদিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মুসলিম উম্মাহর সেবায় দক্ষতার সাথে আত্মনিয়োগ করতে পারবে। আমরা সেভাবেই ওদের গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। সাফল্যের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের পরিশ্রম ও সাধনাও অব্যাহত থাকবে। আমি আশা করি, আল্লাহর দয়া ও আপনাদের দোয়ার বদৌলতে আমরা আরো এগিয়ে যেতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন