চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ রেজাল্ট দেওয়া হয়। এবারে ৬৮ হাজার ২৭১ উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আবেদনকারী ২২ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৮৪৬ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান।
শিক্ষার্বোড সূত্রে জানা যায়, ২২ হাজার ৩২৪ জন পরিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিল। আবেদন করা ৬৮ হাজার ২৭১টি উত্তরপত্র পুনরায় নিরীক্ষণ করা হয়। ১ হাজার ৮৪৬ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। সিজিপিএ পরিবর্তন হয়েছে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২৮। ১২৯ জন শিক্ষার্থীর গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু সিজিপিএ পরিবর্তন হয়নি। ৫৫৭ জন পরীক্ষার্থীর গ্রেড পয়েন্ট বেড়েছে। ১ হাজার ২০৮ জনের মার্কস বেড়েছে কিন্তু গ্রেড পয়েন্ট বাড়েনি। ফেল থেকে পাস করেছে ১০১ জন। ফেল করা কোনো পরীক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পাইনি। তবে গ্রেড পরিবর্তিত হয়ে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৬১ জন পরীক্ষার্থী। মার্কস বেড়েছে কিন্তু ফল থেকে ফেল রয়ে গেছে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭১ জন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘পুনঃনিরীক্ষণের জন্য যারা আবেদন করেছে তাদের উত্তরপত্রে নম্বর যোগ বা উঠানোর ক্ষেত্রে কোনো যে ভুলগুলো হয়েছে তা সংশোধন করে পুনরায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে পরীক্ষার ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। ফলাফলে আরও ১০১ জন পাস করেছে। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১ জন পরীক্ষার্থী।’
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত ফলাফলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ২৬৯ জন। পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর তা বেড়ে ১০ হাজার ৩৩০ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে প্রকাশিত ফলাফলে যারা অকৃতকার্য হয়েছে অথবা আশানুরূপ ফলাফল পায়নি শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত সময়ে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে সেসব শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন