এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে ফলাফল ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এবারও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলেদের টপকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল।
তিনি জানান, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৯৮ জন। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৮৬৯ ও মেয়ে ৩ হাজার ৮২৯ জন।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ১৬৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ৭১ হাজার ১২ জন। পাসকৃতদের মধ্যে ৩৩ হাজার ৮১১ জন ছেলে ও ৪৯ হাজার ৩৫৪ জন মেয়ে।
জেলাভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে সিলেট। এ বছর সিলটে ৩১ হাজার ৫০৬ জন, হবিগঞ্জে ১২ হাজার ৫২২ জন, মৌলভীবাজারে ১৩ হাজার ৩৩২ জন এবং সুনামগঞ্জে ১৩ হাজার ৬৫২ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। সাতটি পরীক্ষার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে তা স্থগিত করা হয়। পরে বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তা বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ। পরে বিষয় ম্যাপিংয়ের ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা ফলাফল এই (https://eduboardresults.gov.bd/) ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারবেন। একই ওয়েবসাইটে গিয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ফল (Result sheet download) সংগ্রহ করা যাবে।
এ জন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘রেজাল্ট কর্নারে’ ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘EIIN’ এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ‘Result sheet download’ করা যাবে এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে ‘Result sheet download’ করতে পারবে। সেখানে থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট করলেই শিক্ষার্থীরা তার পুরো রেজাল্ট শিট দেখতে পাবেন।
এ ছাড়া মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এ জন্য মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী—আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। সবশেষ সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন