কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘খরা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিকর-ব্যয়বহুল প্রাকৃতিক দুর্যোগ’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় খরা সম্মেলন-২০২৩। ছবি : সৌজন্য
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় খরা সম্মেলন-২০২৩। ছবি : সৌজন্য

বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে জলবায়ু পরিবর্তন একটি মারাত্মক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। প্রতিনিয়ত দেশটি জলবায়ুগত নানাবিধ সমস্যা মোকাবিলা করছে যার মধ্যে অন্যতম হলো খরা।

এই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার উদ্দেশ্যে শনিবার (২২ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় খরা সম্মেলন- ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্মেলনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম জাতীয় খরা সম্মেলন-২০২৩-এর একটি সেশনের চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন, খরা হলো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং ব্যয়বহুল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে অন্যতম। খরা মারাত্মকভাবে কৃষি, অর্থনীতি, পানিসম্পদ, পরিবেশ এবং সমাজকে প্রভাবিত করে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রায় প্রতি বছরই, দেশটি একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় যেমন- গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, ঝড়বৃষ্টি, উপকূলীয় ক্ষয়, বন্যা এবং খরা। যার ফলে ব্যাপক জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হয় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে হুমকির মুখে ফেলে।

তিনি এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সমাজচিন্তার প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে বলেন, ১৯০৪ সালে ব্রিটিশ গভর্মেন্টের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ 'স্বদেশী সমাজ' প্রবন্ধটি লিখেন, যেখানে ভারতবাসীর জলকষ্ট বিষয়টি উঠে আসে। আজ থেকে একশ পঁচিশ বছর পূর্বেও খরা সমস্যায় আমরা ছিলাম, তা এই লেখায় প্রমাণ করে। রবীন্দ্রনাথ বীরভূমে ১৯২২, ১৯২৬ এ প্রকট খরার কারণে কৃষি সমন্বয়ের আদলে সেচ সমন্বয় প্রথার সূচনা করেছিলেন। উল্লেখ্য, ৪৯৯টি সেচ প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্র উপাচার্য জানান, ১৯৬০ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ১৯টি খরা হয়েছিল। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ১৯৫১, ১৯৫৭, ১৯৬১, ১৯৭২, ১৯৭৬, ১৯৭৯, ১৯৮৯ এবং ১৯৯৭ সালে মারাত্মক খরার সম্মুখীন হয়েছিল। সুতরাং, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বিশেষত, উত্তর-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে উন্নততর পানি ও শস্য ব্যবস্থাপনা, অন্যান্য উৎসের সঙ্গে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, পানি সংরক্ষণ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, খরা পর্যবেক্ষণ ও সেচ ব্যবস্থাপনার প্রযুক্তি, তীব্র জলাবদ্ধতা ও স্থানীয় পরিকল্পনা এবং পানি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুনেই সেলেসাওদের দায়িত্ব নিচ্ছেন আনচেলত্তি

ইউআইইউ’র বন্ধের ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্বেগ

ঝড়ো শতকে রেকর্ডের পাহাড় গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব

পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

আজ ইচ্ছাপূরণের দিন 

দুই মামলায় জামিন নামঞ্জুর / তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন অ্যাম্বুলেন্সে করে কারাগারে 

সৌদি ফেরা হলো না রুহেলের, ভাইয়ের হাতে গেল প্রাণ

চট্টগ্রামে সাদমান-বিজয়ের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশের দাপট

কূটনীতিকসহ পাকিস্তান দূতাবাসের ৮ কর্মকর্তাকে দেশে ফেরত

১০

ফসলি মাঠে কৃষকের মরদেহ, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

১১

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে এরদোয়ানের বার্তা

১২

এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬টি কার্যালয়ে একযোগে দুদকের অভিযান

১৩

মাদককারবারিদের হামলায় ৫ ডিবি পুলিশ আহত, আটক ৩

১৪

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে আহমাদুল্লাহর বিস্ফোরক মন্তব্য

১৫

যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান : প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৬

দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন

১৭

ইউআইইউর সাম্প্রতিক ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

১৮

এনসিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নিয়ে যা বললেন উমামা 

১৯

চরের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে করলা 

২০
X