বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন আগামী রোববার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মহান স্বাধীনতার চেতনা-আদর্শ এবং সমন্বিত ঐক্যে উজ্জীবিত শাহেদ-তানভীর-মোস্তাফিজ প্যানেল। এবারের নির্বাচনে গ ব্যালটে নির্বাচন করবে প্যানেলটি।
শুক্রবার (৭ জুন) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।
ইশতহারে বলা হয়েছে- পদোন্নতির চলমান প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা; সব অধ্যাপক পদকে ৩য় গ্রেডে উন্নীতকরণ; গ্রেড বিবেচনায় প্রভাষকদের পদোন্নতি চালুকরণ (৯ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেড); কলেজগুলোতে প্রযোজ্য প্যাটার্ন অনুযায়ী পদসৃষ্টির মাধ্যমে সকল টায়ারে যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ; প্রতি বছর প্রতি টায়ারে ন্যূনতম ১ বার পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ; সকল অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের প্রাধিকারের ভিত্তিতে গাড়ি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ; অধিদপ্তর, দপ্তর ও কলেজগুলোতে আনুপাতিকভাবে ১ম, ২য় ও ৩য় গ্রেডের পদ সৃষ্টি; অর্জিত ছুটি নিশ্চিতকরণ; কলেজগুলোতে অতিরিক্ত ১টি উপাধ্যক্ষ পদ সৃষ্টি; ৬টি গ্রেড অনুযায়ী ৬টি পদস্তর সৃষ্টির লক্ষ্যে পদসোপান পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ গ্রহণ।
ইশতেহারে আরও রয়েছে- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, নায়েম, বিএমটি- টিআইর বিতর্কিত নিয়োগ বিধিমালা বাতিলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা; সরকারি কলেজগুলোতে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন রেস্টহাউস ডরমিটরি নির্মাণ; উপজেলাসহ মাঠপর্যায়ের সকল স্তরে মাধ্যমিক ও কলেজের প্রশাসনিক দপ্তর স্থাপন; বিসিএস সাধারণ শিক্ষা একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ; সব কর্মকর্তার উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারি ও আন্তর্জাতিক বৃত্তিসহ প্রয়োজনীয় সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ; একাডেমিক জার্নাল/গবেষণাপত্র প্রকাশের লক্ষ্যে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ; কর্মস্থলে ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগ গ্রহণ; সব কলেজে অফিসার্স লাউঞ্জ প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণ; ঢাকার কেন্দ্রে সরকারি সহায়তায় পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি অব্যাহত রাখা।
এ সময় বিগত ২টি নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্যাডারের অর্জনগুলো জানান অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।
তিনি জানান, বিতর্কিত আত্তীকরণ বিধিমালা ২০০০ রহিতকরণ এবং যুগান্তকারী আত্তীকরণ (ননক্যাডার) বিধিমালা ২০১৮ প্রবর্তনের মাধ্যমে তরণ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ক্যাডারে আত্তীকরণ চিরতরে বন্ধ করা হয়েছে। ১৮ মহিলা কলেজের আত্তীকৃত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে পক্ষভুক্ত ১৭ ও ১৮ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ ভেন্যু বাড়ানোর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ব্যাকলগ কমিয়ে এনে নবীন ও তরুণ কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দ্রুত সম্পন্নকরণ নিশ্চিত করা হয়েছে। কলেজগুলোতে প্রযোজ্য প্যাটার্ন অনুযায়ী প্রাপ্য পদসৃষ্টির প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া- যা এখন চূড়ান্ত অবস্থায় রয়েছে; এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ক্যাডারে পদোন্নতির স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
শাহেদুল খবির চৌধুরী জানান, সকল অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের প্রাধিকারের ভিত্তিতে গাড়ি প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতিগত সম্মতি প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্র ও শনিবার ২ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি চালু করা হয়েছে। ২০১৬ সালের পর থেকে ক্যাডারে ১০ শতাংশ নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রদর্শকদের ননগেজেটেড পদ থেকে গেজেটেড ক্যাডার পদে পদোন্নতির বিধান রহিতকরণ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। মাউশির জন্য ৩টি ২য় গ্রেডের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের পদ সৃষ্টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং বিভিন্ন কলেজে ৯৫টি ৩য় গ্রেডের পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাউশির সহকারী পরিচালক তানভীর হাসান, অর্থ সম্পাদক পদপ্রার্থী এনসিটিবির উপসচিব (কমন) মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, ইডেন কলেজের অধ্যাপক সুফিয়া বেগম, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন