আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (আইবিজিই)-এর প্রতিষ্ঠাকালীন প্রফেসর ও পরিচালক ড. তোফাজ্জল ইসলাম বশেমুরকৃবির পরিচালক (আন্তর্জাতিকবিষয়ক) পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
রোববার (২ জুন) তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত ৩১ মে মেয়াদ শেষ হওয়ায় অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রফেসর ড. আবু সাদেক মো. সেলিমের স্থলাভিষিক্ত হন আমেরিকান ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পাওয়া এ সৃজনশীল বিজ্ঞানী।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (আন্তর্জাতিকবিষয়ক) সেমিনার কক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে এ দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ উন্নয়ন ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও সহকারী পরিচালক (আন্তর্জাতিকবিষয়ক) প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল ইসলাম।
২০১০ সালে জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধান হয়ে দ্যুতি ছড়ানো বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি এবং বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির নির্বাচিত ফেলো এ জীবপ্রযুক্তিবিদ, আইবিজিইর প্রফেসরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২ বছরের জন্য এ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
২০১৬ সালে গমে মহামারি সৃষ্টিকারী ছত্রাক জীবাণুর উৎপত্তিস্থল নির্ণয়কারী এ জীবপ্রযুক্তিবিদ বলেন, আমার যাবতীয় উদ্ভাবন ও আবিষ্কারের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে প্রজ্বলিত হবে বশেমুরকৃবির আন্তর্জাতিকবিষয়ক অঙ্গন। যার নিরিখে বশেমুরকৃবির যে কোনো গবেষণালব্ধ উদ্ভাবন নিরূপিত হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে। মেধা-মনন ও অভিজ্ঞতার সবটুকু নিংড়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার উৎকর্ষ সাধনের এক উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে চান বলেও দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন ১০ সহস্রাধিক গবেষণা সাইটেশনের অধিকারী এ শিক্ষাবিদ ও লেখক।
জিনোম এডিটিং, কৃষিতে ন্যানো প্রযুক্তি, বারমাসি কাঁঠাল ও ইলিশের অন্ত্রের জীবাণুর জীবন রহস্য উন্মোচনকারী হিসেবে সমধিক পরিচিত বিজ্ঞানী তোফাজ্জল ইসলাম। কৃতিত্বের শীর্ষে অবস্থান করায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি স্বর্ণপদক, কমনওয়েলথ ইনোভেশন পুরস্কার, রোটার ফাউন্ডেশনের ভোকেশনাল এক্সিলেন্স পুরস্কার, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পুরস্কার, খাদ্য ও কৃষি পুরস্কার, ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন (ইউজিসি) পুরস্কারসহ বহু অভিধায় পুরস্কৃত হয়েছেন ১৯৬৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নেওয়া এ প্রথিতযশা কৃষিবিদ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সিরাজুল ইসলাম তালুকদার স্বাক্ষরিত এক আদেশ বলে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন