জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
শনিবার (২৫ মে) সকালে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন কবির সমাধিতে এ শ্রদ্ধা জানায় সংগঠনটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সিনিয়র সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শাওন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আক্তার শুভসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হলের নেতারা।
কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ১৯৪২ সালে দেশভাগের ডামাডোলের মধ্যেই যে মহামানব একটি পুরো সম্পাদকীয় লিখে বাংলাদেশ নামক জাতি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, ২৯ বছর দেরিতে হলেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশীরা স্বাধীনতা অর্জন করে তার সেই স্বপ্নকেই সত্যি করেছিল। অথচ দুঃখের ব্যাপার, তাকে আমরা কেবল কবি হিসেবেই জানি। সাহিত্য ও রাজনীতিতে তার অবদানের ব্যাপারে চর্চার জন্য আমাদের সমাজে ও শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবেশ ও সুযোগ খুবই সীমিত।
তিনি আরও বলেন, হয়তো তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার নিঃস্বার্থ ও অনমনীয় আদর্শ প্রচার হলে হুকুমতের পক্ষে মতামত কমজোর হয়, সে জন্যই নামে জাতীয় কবি বানালেও কাজে-কর্মে সে রকম মর্যাদা তাকে দেওয়া হয় না। আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে জনগণের সরকার বাংলাদেশি জাতির এই ঋণ পরিশোধে যথেষ্ট প্রয়াস নেবে।
সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, সাম্য, মানবতা, প্রেম, দ্রোহ, তারুণ্যসহ সকল দুঃশাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কাজী নজরুল ইসলামের লেখনী সব সময় প্রাসঙ্গিক। চলমান দুঃশাসনকালে মানবতার জয়গান গেয়ে যারা বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে কুণ্ঠাবোধ করে না তাদের জন্য সব থেকে বড় অনুপ্রেরণার নাম কাজী নজরুল ইসলাম। বিশেষ করে, তরুণ ও ছাত্রদের জন্য কবির লেখনী সবসময় হৃদয়কে উদ্বেলিত করে তোলে।
শিপন আরও বলেন, বর্তমানে শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কবির লেখনীর প্রাসঙ্গিকতার কারণেই আজ কবিকে নিয়ে সঠিক চর্চা সীমিত হয়ে পরেছে। চলমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্ররা তাদের অধিকার আদায়ে কবির লেখনীকেই শক্তি হিসেবে গ্রহণ করবে।
মন্তব্য করুন