সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট) এবং আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লিমেরিক (ইউএল) একটি ডুয়েল মাস্টার্স প্রোগ্রাম শুরু করার জন্য যৌথ স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ইউনিভার্সিটি অব লিমেরিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট, গ্লোবাল অ্যান্ড কমিউনিটি এনগেজমেন্ট, প্রফেসর নাইজেল হিলি এবং বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সত্য প্রসাদ মজুমদার সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
বুয়েটের বেশকিছু স্নাতক ১৯৯৮ সাল থেকে লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের উচ্চতর অধ্যয়ন এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। বুয়েট ২০১৭ সাল থেকে ইউরোপীয় কমিশনের ইরাসমাস+ প্রোগ্রামের অর্থায়নে ইন্টারেন্যাশনাল ক্রেডিট মোবিলিটি প্রোগ্রাম এ ইউএলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দুটি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে এ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
ডুয়েল মাস্টার্স প্রোগ্রাম এর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক হিলি বলেন, এই স্মারক চুক্তি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দুটির মধ্যে সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে। এটি বুয়েট তথা বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডভান্স মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে লিমেরিকের মতো একটি শহর, যেখানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক কোম্পানিগুলো অবস্থিত, সেখানে প্রবেশের দ্বার উমুক্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, আমি ইউএল এবং বুয়েটের মধ্যে এই ইউনিভার্সিটি টু ইউনিভার্সিটি অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় আনন্দিত। এটি সময়োপযোগী, উভয়পক্ষের জন্য উপকারী এবং উভয় সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে সমন্বয়মূলক। আমি আত্মত্মবিশ্বাসী যে, চুক্তিটি আগামী দিনগুলোতে ইউএল এবং বুয়েটের মাঝে আরও নতুন যৌথ প্রোগ্রামের সূচনা করবে। যা এই ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে তুলবে।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মজুমদার বলেন, বুয়েট প্রতিবছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে তাদের শিক্ষার্থী হিসেবে গ্রহণ করে। এসব প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য উচ্চশিক্ষার আনুষ্ঠানিক মাধ্যম প্রয়োজন। যাতে তারা স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য ভর্তি প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা দূর করে অবিলম্বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে প্রস্তুত হয়।
তিনি আরও বলেন, লিমেরিক ইউনিভার্সিটির যে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা এবং আয়ারল্যান্ডজুড়ে যে বহুজাতিক কোম্পানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক রয়েছে তা আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে এবং বিশ্বমানের গবেষণায় অংশ নিতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পরবর্তী শিল্প বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
মন্তব্য করুন