ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেছেন, তোমাদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনীশক্তি এবং দেশপ্রেমের মাধ্যমে দেশের তোমরা ইতিবাচক পরিবর্তন সাধন করবে। দেশ ও বিশ্বের উন্নয়নের কাজ করবে এবং তোমাদের কাজ হবে মানবতার জন্য। আগামী দিনের জন্য নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোল। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে তোমরাই দেশকে নেতৃত্ব দিবে।
শনিবার (৯ মার্চ) মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন তোমরা যে পরিবেশে পড়াশোনা করছো তা আমাদের সময় ছিল না। আমার বাড়ি ছিল বাংলাদেশের দক্ষিণে এক অজপাড়া গাঁয়ে, এরপরও আমি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছি। তোমাদের কাছে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা আছে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, তোমাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ, আদর্শ নাগরিক এবং মানবিক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. মেহদী হাসান প্রামাণিক। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ট্রাস্টের সদস্য ও একাডেমিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক, মানারাত ট্রাস্টের সেক্রেটারি শাহ আলম বক্সী, কলেজের উপাধ্যক্ষ তাহমীনা ইয়াসমীন এবং অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান আকন্দ।
অনুষ্ঠানে কলেজের সর্বোচ্চ নম্বরধারী শিক্ষার্থীদের পদক ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে এ লেভেলে বায়োলজিতে দেশের সর্বোচ্চ নম্বরধারীর পদক অর্জন করে নাশিতা জামান, এএস-লেভেলে যথাক্রমে ইংরেজি, মনোবিজ্ঞান ও ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরধারীর পদক অর্জন করে আদিনা হাসান, আলিমা হক ভূঁইয়া ও এম এস সিদরাতুল মুনতাহা অনন্যা।
ও-লেভেলে গণিত বিষয়ে কায়েস মুহতাসিম, খালিদ মাহমুদ বিশ্ব সেরা এবং বাংলা বিষয়ে দেশসেরা হন সাদমান জামাল সিদ্দিকি। এদের সবার হাতে তুলে দেওয়া হয় সেরা শিক্ষার্থীর পদক। অনুষ্ঠানে ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পাশ করা সকল শিক্ষার্থীকে তাদের কৃতিত্বের জন্য সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মুনতাসির মাহমুদ এবং মায়েশা তাহসীন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘ও-এ লেভেল’-এর কো-অর্ডিনেটর রোখসানা খানম, বালক ও বালিকা শাখার কো-অর্ডিনেটর যথাক্রমে আবদুল হামিদ খান ও রহিমা খাতুন ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষক ও সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ।
মন্তব্য করুন