চুয়েট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চুয়েটে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চলছে যাত্রী পরিবহন

চুয়েটের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার যাত্রী পরিবহনে। ছবি : কালবেলা
চুয়েটের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার যাত্রী পরিবহনে। ছবি : কালবেলা

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) পরিবহন সেবা নিয়ে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বাস সেবা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বরাবরই অসন্তুষ্ট। এখন যুক্ত হলো অ্যাম্বুলেন্স সেবার যাচ্ছেতাই ব্যবহার।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে চুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল (ইইই) বিভাগের বিদায়ী বর্ষের (১৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান চট্টগ্রাম শহরে ডাক্তার দেখানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে একটি অ্যাম্বুলেন্স বুকিং করে। বুকিং অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮টায় মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে উঠলেও তার সঙ্গে উঠে যায় আরও ৭ জন। এরা কেউই নাজমুলের পূর্বপরিচিত না।

এ ঘটনায় বিস্মিত হয়ে নাজমুল ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট করেন। যে পোস্টের পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিয়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়। অপরিচিত যাত্রী উঠানো নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক আল আমিনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি ইচ্ছেকৃতভাবে কাউকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলিনি। ২ জন বাস চালক উঠে গেছেন। তাদের আমি আর নিষেধ করতে পারিনি। আর ডা. মো. আব্দুল্লাহ উঠেছিলেন এবং তিনি সঙ্গে মেডিকেল সেন্টারের এক কর্মচারীকে তার পরিবার নিয়ে উঠতে দিয়েছেন। আমি ডাক্তারের আদেশ মানতে বাধ্য তাই তাদের নিষেধ করিনি।

এ বিষয়ে জানতে ডা. মো. আব্দুল্লাহর মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি। একই সঙ্গে মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ড. রানী আকতারের মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, নিয়মানুযায়ী আমাকে অ্যাম্বুলেন্স চালক হাসপাতালে নিয়ে যাবেন এবং ক্যাম্পাসে নিয়ে আসবেন। কিন্তু, আমাকে পথেই নামিয়ে দেয় এবং বাকি যাত্রীদের ঠিকঠাক গন্তব্যে নিয়ে যায়। আমার নামে বুকিং করা অ্যাম্বুলেন্সে যেখানে শুধু আমারই ওঠার কথা ছিল। সেখানে আমাকে ক্যাম্পাসে নিয়েও আসেনি। এ রকম ঘটনা চুয়েটে হরহামেশাই হচ্ছে। আমি জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি। এ বিষয়ে যানবাহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কারও একান্তই জরুরি প্রয়োজনে গাড়ির দরকার হয় তবে যানবাহন শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমি ওই ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য ওই চিকিৎসক এবং চালক উভয়ের সঙ্গেই কথা বলব।

মেডিকেল সেন্টারের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ছাত্রকল্যাণ দপ্তর। দপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাকে ই-মেইলে অভিযোগ জানানোর জন্য বলেছি। তার অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা অবশ্যই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না : সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

টিসিবির পণ্যসহ আটক বিএনপির সেই সভাপতিকে অব্যাহতি

বাংলা ভাষাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা দিল ভারত

রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

শেরপুরে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে বিজিবি

চট্টগ্রামে ফের তেলের ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন

আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ

খুলনায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৪ নেতাকে বহিষ্কার

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ৫ পরিচালকের যোগদান

দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুর, বাকেরগঞ্জ থানার ওসি প্রত্যাহার

১০

আন্দোলনে নিহত ৩ যুবকের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ

১১

মালয়েশিয়ায় আরও জনশক্তি পাঠাতে সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি

১২

সিলেটে পিকআপ চাপায় প্রাণ গেল পুলিশ কর্মকর্তার

১৩

খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

১৪

চবির হলে আসন বরাদ্দে বৈষম্য, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

১৫

মসজিদে তালা দিয়ে দোকানে দুর্বৃত্তের হামলা

১৬

‘নারী অধিকার কমিশন’ গঠনের দাবিতে সংহতি সমাবেশ

১৭

দলীয়করণমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন গড়তে চাই : আমিনুল হক

১৮

লেবানন-ফিলিস্তিন নিয়ে অবশেষে হুঁশ ফিরল সৌদির?

১৯

ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা দিল ইরান!

২০
X