জনস্বার্থে সাংবাদিকতার চর্চা না থাকার কারণে কাঙ্ক্ষিত গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে গণমাধ্যম। ফলে সাধারণ মানুষ ঝুঁকে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে। গণমাধ্যমের আয়ের একমাত্র উৎস বিজ্ঞাপণও চলে যাচ্ছে সেখানে। এতে অনিশ্চয়তায় পড়ছে গতানুগতিক ধারার সংবাদকর্মীদের জীবন-জীবিকা। কালবেলা অনলাইন আয়োজিত বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে।
কর্মশালায় দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা তুলে আনার তাগিদ দেন প্রশিক্ষকরা। একই সাথে গতানুগতিক ধারার বাইরে বেরিয়ে অভিনব আঙ্গিকে প্রতিবেদন তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেন তারা। প্রশিক্ষণে সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি সংবাদের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
দু’দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিনে ছিল জনস্বার্থে সাংবাদিকতা বা ‘পাবলিক ইন্টারেস্ট জার্নালিজম’বিষয়ক প্রশিক্ষণ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনে ছিল ‘স্টোরি টেলিং’, যেখানে তথ্য উপস্থাপনের নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। কর্মশালায় কালবেলা অনলাইনের সংবাদকর্মীরা অংশ নেন। পরে এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক কালবেলার বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন) পলাশ মাহমুদ ও সিনিয়র নিউজ এডিটর বরকতুল্লাহ সুজন এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের হেড অব প্রোডাকশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ লিড বিশ্বজিৎ দাশ এবং মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অফিসার নূর সিদ্দিকী। প্রশিক্ষণে তারা পাঠক ও দর্শকদের প্রয়োজন বুঝে সঠিক তথ্যবহুল খবর পরিবেশনের কলাকৌশল হাতে-কলমে শেখান।
কর্মশালা শেষে সাংবাদিকরা বলেন, সংবাদমাধ্যমের বিকল্প হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্ম, যা উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশের সাধারণ দর্শক-শ্রোতা একটি গণমাধ্যম থেকে কী কী প্রত্যাশা করেন, তা নিয়ে গবেষণার তাগিদও দেন তারা।
সাধারণ ছকে নিজেকে বেঁধে না রেখে একটি সংবাদকে কীভাবে পাঠক ও দর্শকদের সামনে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সে ব্যাপারে দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কালবেলাকে ভবিষ্যতেও সহযোগিতার আশ্বাস দেন বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশনের বিভিন্ন কৌশল কর্মশালায় যেভাবে হাতে-কলমে শেখানো হয়েছে, প্রত্যেকের পেশাগত জীবনে তা দারুণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংবাদকর্মীরা।
মন্তব্য করুন