যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) দ্বিতীয়বারের মতো টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার বিশ্বের ১ হাজার ৩৯৭টি টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে কিউএস। তালিকায় সেরা এক হাজারের মধ্যে বাংলাদেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে, এক হাজারের বাইরে বাংলাদেশের আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস: সাসটেইনেবিলিটি ২০২৪’ শীর্ষক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ থেকে শীর্ষে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় স্থানে আছে বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এক হাজারের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৬৩৭তম স্থানে, আর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আছে ৯০১ থেকে ৯২০-এর মধ্যে। এ ছাড়া এক হাজারের তালিকায় বাংলাদেশের আর কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পায়নি।
কিউএস প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৬০ জন। তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ আন্ডার গ্র্যাজুয়েটের শিক্ষার্থী। ২০ শতাংশ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪৮ জন। তাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ আন্ডার গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। বাকি ৪৪ শতাংশ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট লেভেলে অধ্যয়নরত। অন্যদিকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মোট শিক্ষার্থী ১৭ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে ৯৩ শতাংশ আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের। বাকি সাত শতাংশ পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের। বর্তমানে ড্যাফোডিলে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২০ জন।
এদিকে, সেরা এক হাজারের বাইরে থাকা চারটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো—নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। র্যাঙ্কিংয়ে নর্থ সাউথের অবস্থান ১১৫১-১২০০ এর মধ্যে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাকৃবি ও বুয়েটের অবস্থান ১২০০-এর ওপরে। এবার ১২০১-এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করেনি কিউএস।
কিউএসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, র্যাঙ্কিং তৈরির ক্ষেত্রে এবার তিনটি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়েছে। সব সূচক মিলিয়ে স্কোর ১০০। সব সূচকের যোগফলের গড়ের ভিত্তিতে স্কোর তৈরি করা হয়। তিনটি সূচকের মধ্যে পরিবেশগত প্রভাব ৪৫ শতাংশ, সামাজিক প্রভাব ৪৫ শতাংশ এবং প্রশাসনিক প্রভাব ১০ শতাংশ ধরে মান নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছর প্রথমবারের মতো এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে কিউএস। সেবার বিশ্বসেরা টেকসই ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় প্রকাশ করেছিল। তাতে স্থান পেয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট। সেবার এ তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৫৫১-৬০০ ও বুয়েটের অবস্থান ছিল ৬০১ থেকে ওপরে। এ ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরের ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস: সাসটেইনেবিলিটি ২০২৩’ তালিকায় জায়গা পায়নি। এবার ঢাবি সেরা এক হাজারের মধ্যে থাকলেও পিছিয়েছে। আর পিছিয়ে পড়ে তালিকার শেষের দিকে আছে বুয়েট।
মন্তব্য করুন