বিশেষ বিবেচনায় দেশের ৯১টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। পৃথক পাঁচটি আদেশে শর্তসাপেক্ষ এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, নিবন্ধন প্রথা চালু হওয়ার আগে বিধিসম্মতভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ও কর্মচারীরাও এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু পরে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য অবশ্যই নিবন্ধন সনদ লাগবে। এ ছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হয়েছে তার মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে। তবে পরে যোগ্যতা অর্জন করলে স্থগিত এমপিও আবার চালু করা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে সেগুলোর কোনো তথ্য ভুল বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শর্তে বলা হয়।
এর আগে, গত মার্চে মন্ত্রী ও এমপিদের ডিও লেটারের (বেসরকারি পত্র) পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় ৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। তবে শিক্ষামন্ত্রীর নির্বাচনী আসনে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার পর সরকারের উচ্চ মহলে চাপ তৈরি করেন অনেক মন্ত্রী। এরপর গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিশেষ বিবেচনায় ৯১টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়।
২০২১ সালের ৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের অধীনে দুই হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। শর্তপূরণ না হওয়ায় এমপিওভুক্তি হতে পারেনি সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপিদের নির্বাচনী এলাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হবে বলে গত নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা।
এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী, ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়। ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা (৩০ নম্বর), পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (৩০ নম্বর) এবং পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার (৪০ নম্বর)। তবে, এ নীতিমালার ২২ ধারায় বিশেষ ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে এমপিওভুক্তির বিধান রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন