‘আমরা কখনো ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা স্থগিতের আন্দোলন করিনি। আমরা করেছি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) যৌক্তিক সংস্কার। আমাদের ৮ দফা দাবি রয়েছে, যা ইতোমধ্যে আপনারা জানেন।’
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় একটি জাতীয় প্রত্রিকায় ‘কঠিন চাপে পিএসসি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেনকে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য উপস্থান করা হয়েছে দাবি করেন তারা বলেন, যা বিসিএস প্রত্যাশীদের যৌক্তি ও ন্যায্য আন্দোলনের প্রতি নেতিবাচক ধারণার সুযোগ দেবে বলে মনে করি।
এ সময় তারা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এর আগে পিএসসি সংস্কারের ৮ দফা দাবিতে চাকরিপ্রত্যাশীদের শাহবাগ ব্লকেডের পর আগামী ৮ মে তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা স্থগিত করে পিএসসি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নিয়ে এ ব্লকেড শুরু করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এতে শাহবাগ মোড় দিয়ে চত্বরের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের মধ্যস্থতায় পিএসসির সদস্য জহিরুল হক ভূইয়াসহ আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ আলোচনার পরে ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয় এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে কমিটির প্রধান করে একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে ৪৩তম বিসিএসে দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রার্থীরা নানা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ৪৩ বিসিএসের দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ১৫ জন প্রার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন।
মন্তব্য করুন