খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ বিএনপি ও ছাত্রদলের দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান।
লিখিত বক্তব্যে জাহিদ আহসান বলেন, কুয়েটে দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও ছাত্রদলের জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জের ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও কুয়েটের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাছুদের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রদল কার্যক্রম পরিচালনা করে। এমনকি ছাত্রদল-যুবদল-বিএনপির যৌথ হামলার সময়েও উপাচার্যকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। সেই হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
তিনি বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে, সেই সময়েই ১০ এপ্রিল ২২ শিক্ষার্থীর নামে মিথ্যা মামলা করা হয়। যদিও এখন পর্যন্ত হামলাকারী কারও বিরুদ্ধেই কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। মামলার পরপরই সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান জাহিদ।
জাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশেষত উপাচার্য শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে বিএনপির দলীয় স্বার্থের পক্ষে অন্যায্য অবস্থান ব্যক্ত করছে। কুয়েটের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাছুদ ছাত্রদলের কুয়েট শাখার সভাপতি ছিলেন। আমরা উপাচার্যের শিক্ষার্থীবিরোধী অবস্থান প্রত্যাখ্যান করছি।
এ সময় তারা সোমবার রাজধানীর মিরপুরে এক সহিংসতার ঘটনায় বাগছাসের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন আহমদের ওপর হামলার নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. কুয়েট ছাত্রদল-যুবদলের হামলা, মামলা ও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়ে পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের নামে মামলা এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. কুয়েটের উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ না করলে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অপসারণ করতে হবে।
৪. আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুয়েটের সব হল খুলে দিতে হবে।
৫. মাহিন আহমেদের ওপর হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মোদ্দাসসীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের এবং সদস্য সচিব মহির আলম।
মন্তব্য করুন