বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ‘ভুয়া’ বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ পেল। ওয়েবসাইটে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামক একটি অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ইউজিসির পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ভুয়া তথ্য বিশ্বাস করে প্রতারণার শিকার না হতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তার ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইস্যুকৃত সনদের সঠিকতা যাচাইয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। গত সোমবার সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে টিমের সদস্যরা ইউজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। পূর্ব মেরুল বাড্ডায় ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের অস্তিত্ব নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকার, ইউজিসি, ফার্মেসি কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত বলে উল্লেখ করেছে। বাস্তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন না নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সনদ বাণিজ্যের জন্যই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে প্রতারণা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ডোমাইনটি অতিদ্রুত বন্ধের বিষয়ে বিটিসিএলে পত্র পাঠানোর সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুদক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)। এদিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এপিইউবির পরিচালক বেলাল আহমেদ বলেন, ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে ইউজিসির তথ্যসূত্র অনুযায়ী এপিইউবি অনুসন্ধান করে এ ধরনের কোনো অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব পায়নি।
মন্তব্য করুন