২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর পেয়েই কোটাধারীরা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ নম্বর পেয়েও সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ বঞ্চিত বহু শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার দেশের ৫৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা ও নাতি-নাতনিদের জন্য ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ৩৯টি আসন সংরক্ষিত।
ফলাফলের তথ্য বলছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারীদের মধ্যে পাস করেছেন ১৯৩ জন। ফলে তারা সবাই ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।
ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০। প্রতিযোগিতা না থাকায় পাস নম্বর পেয়েই মুক্তিযোদ্ধা এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর উপজাতি শিক্ষার্থীরা সরকারি মেডিক্যালে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজন ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন, তাদের প্রাপ্ত নম্বর কত—সেগুলো খোঁজ নিতে হবে। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাবে।’
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এবার প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০.৭৫।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৯৫ জন।
সারা দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৫ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি ) বিকেল ৪টার পর এই ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে। এ তালিকায় রয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও। তিনি লিখেছেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় এখনো কীসের কোটা? আজ থেকেই এই শোষণের শেষ হতে হবে। ফুলস্টপ।’
মন্তব্য করুন