মানসম্মত উচ্চশিক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি। আর্ন্তজাতিক মানের কর্মমুখী ও মানসম্মত উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ব্রত নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ঢাকার বৃহৎ জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ছিলেন সাবেক সচিব, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক মরহুম কাজী আজহার আলী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী এবং নিজস্ব বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সঠিক তত্ত্বাবধানে সফলভাবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সম্পূর্ণ শিক্ষাকার্যক্রম অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মোহাম্মপুরস্থ আদাবর বেড়িবাঁধের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলছে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির রূপকল্প হলো বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে, জাতীয় প্রয়োজনে, আধুনিক জ্ঞানসমৃদ্ধ প্রতিভা উন্নয়ন ও লালন পালন করা। এই রূপকল্প অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক অভিলক্ষ্য হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্মমধ্যবিত্ত শ্রেণির মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের স্বল্প খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা, যাতে করে তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্য মানব সম্পদে পরিণত হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস এন্ড ইকোনোমিক্স, ফ্যাকাল্টি অব সাইন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস, সোস্যাল সাইন্স এন্ড ল’ এই তিনটি অনুষদের অধীনে আধুনিক বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ব্যবসায় প্রশাসন, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন বিষয়ক ক্ষেত্রসমূহে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষাদান, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও ব্যবসায় সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করার মাধ্যমে উপযোগী জনসম্পদ উন্নয়ন- এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কৌশলগত উদ্দেশ্য। দেশের ক্ষয়িষ্ণু শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে আধুনিক চিন্তা-চেতনায় উদ্ভাসিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি তার উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে যথাযথভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মাত্র তিনটি বিষয় নিয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে বিবিএ, আর্কিটেকচার, ইংরেজি, ইকোনোমিক্স, সোসিওলোজী, ফার্মেসি, গণিত, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, আইনসহ ১০টি বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি এবং এমবিএ, ইএমবিএ, এমএ ইন ইংলিশ, এলএলএম মাস্টার্স প্রোগ্রামসহ মোট ১৪টি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার এবং শিক্ষক সংখ্যা ১৫১ জন। কর্মরত শিক্ষকদের অধিকাংশই দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চ ডিগ্রিধারী সম্পন্ন।
উচ্চশিক্ষা পাঠদানে সহায়ক শিক্ষা উপকরণ, বাস্তবমুখী জ্ঞান অর্জনের জন্য অত্যাধুনিক ল্যাব, উৎসনির্ভর ও তথ্যসমৃদ্ধ পরিপূর্ণ লাইব্রেরি তথা স্বয়ংসম্পূর্ণ জ্ঞানভাণ্ডার, সার্বক্ষণিক উচ্চগতি সম্পন্ন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন এবং পরিচালনা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রতিযোগিতাপূর্ণ আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশে ইংরেজি মাধ্যমে পাঠদান পদ্ধতি, প্রযুক্তি নির্ভর যুগোপযোগী গবেষণা ভিত্তিক উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম, দেশবিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সঙ্গে প্রযুক্তি, গবেষণা, মেধা ও শিক্ষা বিনিময় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখার প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখে চলেছে।
বিশেষ সুবিধা :
* অত্যাধুনিক নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস। * আধুনিক শিক্ষার জন্য উন্নতমানের পরিবেশ। * আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন বিদেশী ডিগ্রীধারী শিক্ষক। * যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সমমানের পাঠ্যক্রম। * আধুনিক মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ এবং পরীক্ষা হল। * আধুনিক ল্যাবরেটরি এবং জিমনেসিয়াম * ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক কমনরুম, টিচার্স রুম, সেমিনার রুম, আধুনিক বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভাষা ল্যাবরেটরি আছে। * ৪৫,০০০ বই সমৃদ্ধ অত্যাধুনিক দুটো লাইব্রেরি। * ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়ার সুব্যবস্থা।
ক্রেডিট ট্রান্সফার : যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং চীনের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটিতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা।
কোর্স ফি: বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি কোর্স ফি দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স ফির তুলনায় অনেক কম। এখানে একজন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী তার এসএসসি এবং এইচএসসি পরিক্ষার ফলাফলের উপর সর্বনিম্ন শতকরা ২০ শতাংশ থেকে সর্ব্বোচ্চ শতকরা শতভাগ পর্যন্ত বৃত্তি পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া সমাজে আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল পরিবারের মেধাবী সন্তানদের জন্য সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে।
কম্পিউটার ল্যাব : বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, আর্কিটেকচার ল্যাব, ফার্মেসি ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল ল্যাব, আরবান ল্যাব, ইন্টারনেট ল্যাব ও ডিজিটাল ল্যাব আছে। শিক্ষার্থীগণ এ সকল যুগোপযোগী সুবিধা ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সাফল্য : খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির অসামান্য সাফল্য রয়েছে। ক্লেমন ইনডোর ইউনি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ানসহ দুইবার রানার্সআপ হওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৬ সালে ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত বিবেক কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান। এলএলএম ক্রিকেট টুর্নামেন্টে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ানেরও কৃতিত্ব রয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির। এ ছাড়া এটিএন বাংলা আয়োজিত জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি মোট তিনবার চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
যোগাযোগ : বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ৫/বি বেড়িবাঁধ প্রধান সড়ক, আদাবর, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭। ফোন- ০১৭৫৫-৫৫৯৩০১, ০১৭৫৫-৫৫৯৩২০ ই- মেইল : [email protected] ওয়েব সাইট : www.bu.edu.bd
মন্তব্য করুন