বিপ্লবের চার মাস অতিক্রান্ত হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিস্ট দোসরদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হওয়ায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের চিহ্নিত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এ স্মারকলিপি দেন তারা। এতে বৈষম্যবিরোধী জবির ছাত্র আন্দোলনকারীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আবু বকর খান, মো. রাকিব, তারেকুল ইসলাম, মো. তানজিল ও অনিক কুমার দাস।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই বিপ্লবে হাজারো প্রাণের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসর আওয়ামী প্রেতাত্মাদের জুলুম থেকে মুক্তি পেয়েছি। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী মতাদর্শের অনুসারী নীল দলের শিক্ষকরা প্রকাশ্যে আমাদের বিরোধিতা করেছে। গত ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের নাশকতাকারী ও জঙ্গি আখ্যা দিয়ে কঠোরভাবে দমন ও হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রকাশ্যে মানববন্ধন করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ৩ আগস্ট রাতে অনেক শিক্ষক ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যার পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করেছে। যার ফলশ্রুতিতে পরদিন আমাদের জবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বন্ধু সাজিদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ওই সময়ে শিক্ষকদের প্রকাশ্য ইন্ধনে জবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। আমাদের বন্ধু অনিক, ফয়সাল, ফেরদৌস, সিয়াম, ইভান, মারুফ, বাপ্পী, মাহমুদ, সজীব, কাজী আহাদসহ অনেকে আহত হয়েছে। নুরনবী, সিয়াম, তুষারসহ অনেককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা আরও বলে, আমরা জানতে পেরেছি, আসন্ন শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি নীলদলের শিক্ষকরা অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া মানেই জুলাই বিপ্লবের হাজারো শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করার নামান্তর। দলটির বিচার না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথে ফ্লাওয়ামি মতাদর্শের কাউকে কোনো নির্বাচন বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। আমরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের চিহ্নিত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন