বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। ইতোমধ্যে স্কলারশিপে ১০০ বাংলাদেশিকে পাকিস্তানে পড়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম সামা টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর- সৌহার্দ্যের অংশ হিসেবে ১০০ বাংলাদেশিকে শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এতে করে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পথ সুগম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটি সূত্র সামা নিউজকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন।
স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব পোর্টালে যুক্ত করবে।
এর আগে ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক এক্সচেঞ্জ বা সমঝোতা স্মারক নতুন করে সই হবে না। যেগুলো আছে, সেগুলোও স্থগিত থাকবে।’ ২০১৫ সালে নেওয়া ঢাবির তৎকালীন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রশাসনের এমন নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি তুলে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে এসব সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছিল।
এর ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ ২০১৫ সালের আগের সেই স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরেছে ঢাবি ও পাকিস্তান।
২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় পাকিস্তানের সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক ছিন্নের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫ পাকিস্তানির বিচার করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। আর পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে সিন্ডিকেট সভা থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করায় এবং যুদ্ধাপরাধী রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করতে সিন্ডিকেট সার্ক ও জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ করে।
মন্তব্য করুন