কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৪ পিএম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার বিবৃতি

অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ছবি : সংগৃহীত
অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং অন্যান্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা এবং বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। একটি সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল অবস্থায় পাওয়া শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এ সব দাবি-দাওয়ার মধ্যে ন্যায্য-অন্যায্য এবং কিছুক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী দাবিও আছে। একটি বৈষম্যবিরোধী দাবি মানলে অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হতে পারে। শিক্ষা খাতের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের দাবিপূরণের সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকে এবং এর জন্য তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া কঠিন, অথচ সব কয়টি দাবির পেছনের আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিকেই সবচেয়ে অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছেন এবং দাবিগুলোকে শুধু রাস্তায় আন্দোলন করে তাৎক্ষণিক সমাধানযোগ্য মনে করছেন। এতে একদিকে যেমন রাস্তা অবরোধের ফলে অপরিসীম জনদুর্ভোগ হচ্ছে, সরকারও দাবিগুলো যথাযথ বিবেচনার সুযোগ পাচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনার জন্য সরকার ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে, যা ছয় সপ্তাহের মধ্যে দ্রুত একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। সমস্যাটির শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে ঢাকার সাতটি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা থেকে বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার একটি অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের উভয়পক্ষেরই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যে কারণে ওই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নানা অসুবিধা ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। সমস্যাগুলো জটিল এবং এগুলোর সুষ্ঠু সমাধান কী হতে পারে তা বিবেচনায় ন্যূনতম কিছু সময়ের প্রয়োজন।

এরই মধ্যে একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করেছেন। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। দেশের সমস্যাসঙ্কুল শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি একজন আজীবন শিক্ষক হিসেবে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমার সব সহানুভূতি আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ, আন্দোলন ও আলটিমেটামের মাধ্যমে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার কোনো নজির কোথাও নেই। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ধৈর্য ধরার ও নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া উল্লেখিত বিবৃতিটি প্রচার ও প্রকাশের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভিয়েতনামে বাংলাদেশিদের জন্য ‘ই-পাসপোর্ট’ সেবা চালু

‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ শুরু হয়ে গেছে

নির্বাচনে আসন সংরক্ষণ ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি হিন্দু মহাজোটের

‘তুমি বাড়ি যাও, আমি আসছি’ স্ত্রীকে শেষ কথা শহীদ জামালের

গুরুতর অসুস্থ পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল

ভারতবিরোধিতা প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করলেন জামায়াত আমির

‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগিতা’- বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

টিসিবি কাণ্ডে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্যের ওপর হামলা

১০

ছাত্র রাজনীতির সংস্কার চান শিক্ষার্থীরা

১১

আদানির সঙ্গে আরেক দেশের বিলিয়ন ডলারের চুক্তি বাতিল

১২

স্ত্রী চলে গেছে আতাউরের সঙ্গে, শোকে জুয়েলের বিষপান

১৩

পাঁচ দেশে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

১৪

চীনের বিশাল খনিতে কী পরিমাণ সোনা আছে?

১৫

রাজউক কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

১৬

আ.লীগ নিজেরাই নিজেদের পতন ডেকে এনেছে : জামায়াত আমির

১৭

রিমান্ড শেষে কারাগারে আতিক-আলেপ-ফারুকী

১৮

মেজর জলিলের মরণোত্তর ‘বীরউত্তম’ খেতাব চান রব

১৯

ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

২০
X