কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ থেকে প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। ছবি : সংগৃহীত

চেয়ারম্যানের পদ থেকে প্রত্যাহার করার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে এ আবেদনপত্র জমা দেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার কালবেলাকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের পদত্যাগ হয় না। আমি পদ থেকে প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছি। সকালেই এটি সচিবের হাতে দিয়ে এসেছি।

এইচএসসিতেও অটোপাসের দাবিতে একদল শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ-অবরোধের মুখে রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

তখন অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, আমি পদত্যাগ করলে যদি শিক্ষার্থীদের অটোপাসের দাবি পূরণ হয়, সেজন্য এ ঘোষণা দিলাম। তাতেও যদি তারা আমাদের মুক্ত করে দেয়। আগামীকাল (২১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেব।

এর আগে রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে ঢুকে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন একদল শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, বিক্ষোভ চলাকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, কিছু শিক্ষার্থী ভবনের ভেতরে ঢুকে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এ বছরের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। ৭টি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ৬টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। বাকি ছিল ব্যবহারিক পরীক্ষাও। একপর্যায়ে স্থগিত পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ২০ আগস্ট সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করেন পরীক্ষার্থীরা। তখন স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।

১৫ অক্টোবর এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। স্থগিত হওয়া বিষয়গুলোর পরীক্ষা আন্দোলনের মুখে বাতিলের কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন হয়েছে ভিন্ন পদ্ধতিতে। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর মূল্যায়ন হয়েছে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং)। অর্থাৎ এসএসসিতে যে শিক্ষার্থী যত নম্বর পেয়েছিলেন, সেটা এইচএসসিতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আর এইচএসসিতে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা হয়েছিল, সেগুলোর উত্তরপত্রের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হয়েছে। এ দুই মূল্যায়ন মিলে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লেবানন থেকে আরও ৮২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

জবি শিক্ষককে হত্যার হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি

আইপিএল নিলামের তালিকায় ফিরলেন আর্চার

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বৃদ্ধ নিহত

আখাউড়া সীমান্ত থেকে দুই নারী আটক

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের জয়

টানা ৩ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

নতুন সিইসি ও কমিশনারদের শপথ রোববার

সবচেয়ে ভয়ংকর ৪ কবিরা গুনাহ 

জুমার দিন মসজিদে হেঁটে যাওয়ার পুরস্কার

১০

কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চায় না জাতীয় পার্টি

১১

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত

১২

শীতে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ তোশক কারিগরদের

১৩

ধানবীজ কিনে প্রতারিত কৃষক

১৪

কুরিয়ার সার্ভিসে চুরি, ১৯ লক্ষাধিক টাকাসহ কর্মচারী গ্রেপ্তার

১৫

বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

১৬

গুগল ড্রাইভ থেকে ডিলিট ফাইল খুঁজে পাবেন যেভাবে

১৭

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নিহত ৪২

১৮

আজ ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

১৯

ঝোপের ভেতরে গলাকাটা লাশ

২০
X