জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) প্রশ্নবিদ্ধ করা ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও সাত কর্মকর্তাকে অপসারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের জোরপূর্বক নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বদলি করা হয়।
এ ছাড়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে অনুগত ও দলদাস হিসেবে তারা চিহ্নিত ছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেন। সচিবকেও সম্প্রতি সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার গুরুত্বপূর্ণ আরও ৭টি পদে রদবদল আনা হলো।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীনের সই করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। একই সঙ্গে শূন্যপদগুলোতে নতুন করে পদায়ন করা হয়েছে। তারা সবাই শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা।
বদলি হওয়া ৭ কর্মকর্তা হলেন- সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান, সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মোখলেস-উর-রহমান, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ (সেসিপ) সহযোগী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন ভান্ডার কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ, প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক আনিকা রাইসা চৌধুরী, বিশেষজ্ঞ (মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম) সহযোগী অধ্যাপক মোসাম্মৎ খাদিজা ইয়াসমিন।
একই প্রজ্ঞাপনে শূন্যপদগুলোতে নতুনদের পদায়ন করা হয়েছে। সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) পদে আনা হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশনা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরীকে। আর প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের সরকারি গুরুদয়াল কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম সরোয়ার জাহানকে।
নতুন প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হয়েছেন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি এনসিটিবিতে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ (সেসিপ) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ঊর্ধ্বতন ভান্ডার কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন মাউশির সাবেক সহকারী প্রকল্প পরিচালক মুহা. আসাফ উদ দৌলা।
প্রধান সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন কুমিল্লার হোমনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ফাতিহল কাদীর। তাছাড়া শহীদ বেগম শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শুভ্রা আলমকে মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম বিভাগের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন