জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াতির (প্রক্সির) মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাওয়া দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (৩০ জুলাই) ভর্তির সময় পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে তাদের হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করে জালিয়াতির বিষয়ে নিশ্চিত হন সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আহনাফ শাহরিয়ার। ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তার মেধাক্রম ছিল ২৪৯তম। গতকাল ভর্তি হতে এলে ভর্তি পরীক্ষার খাতার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন। আহনাফ লিখিত স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন, তার এক স্বজনের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি হয়। ভর্তি পরীক্ষায় আহনাফের হয়ে ওই স্বজন অংশগ্রহণ করেন।
আরেক শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন গতকাল আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তি হতে আসেন। তিনি ‘বি’ ইউনিটে পরীক্ষা দেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার মেধাক্রম ছিল ৪৮তম। পরীক্ষার খাতার সঙ্গে তার হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তিনি প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তার হয়ে কে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, কত টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, সেসব প্রকাশ করেননি তিনি।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক নূর আলম।
তিনি বলেন, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সোমবার সকাল ১০টার পর আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা হলেন বগুড়ার আহনাফ শাহরিয়ার ও ময়মনসিংহের ফয়সাল আহমেদ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওই দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে খবর দেওয়া হলে তিনিও সেখানে যান। পরে ওই দুই শিক্ষার্থী তাদের জালিয়াতির বিষয়ে লিখিত স্বীকারোক্তি দিলে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন