রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার নাহিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পুরো বাংলাদেশ মাঠে নেমে এসেছিলো। আমরা দেখেছি সে সময় আওয়ামী লীগ ছিলো নিপীড়কের ভূমিকায়। আজকে দুর্ভাগ্যের বিষয়, এতোদিন আওয়ামী লীগ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে পুঁজি করে কেউ কেউ চাঁদাবাজি করছে। আমরা আপনাদের সাবধান করছি, বাংলাদেশে আর কোনো ক্লকওয়াইজ, অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি চলবে না। আমরা দেখছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় কেউ কেউ টোকেন বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি করছেন। আমরা আপনাদের আইনের হাতে সোপর্দ করবো।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, যারা কথা বলতে চায়, আইনের শাসন চায়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, তাদের অতীতে বিভিন্নভাবে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও যারা এইপথে চলতে চাইবে, তারায় সাংবাদিক সমিতির সভাপতির ওপর হামলা করেছে। এদেরকে পুরোপুরি উৎখাত করার আগ অবধি আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামী লীগের দালাল বহিষ্কৃত চামেলি ও শাহবাগ থানার বিএনপি নেতা স্বপন মিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। এরা মিলেমিশে চাঁদাবাজি করে। এদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি করেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সবসময় চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবাজারে হামলার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক নাহিদ হাসান। তাদের দোকানে ডেকে নিয়ে কাউন্সিলর চামেলীর অনুসারীরা হাতুড়ি, রড, জিআই পাইপ দিয়ে হামলা চালায়। এসময় এক শিক্ষার্থীর আঙুল কেটে ফেলা হয় এবং এক ব্যবসায়ী আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, শাহবাগ থানার ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলীর স্বামী আবুল হোসেন টাবু, বিএনপির পদপ্রত্যাশী নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপন ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ ইউসুফ।
মন্তব্য করুন