জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলনের আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিম, সদস্য সচিব রুস্তম আলী খোকন এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের আওতামুক্ত রাখা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হতে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষক পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবি জানিয়ে সরকারকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্রমই মেধাবীদের অংশগ্রহণ হ্রাস পাচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান অরাজকতা বিশৃঙ্খলতা ও সমাজে শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা না দেওয়ায় মেধাবী তরুণ তরুণীরা ভিন্ন পেশার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। দেশে বেড়ে ওঠা তরুণ-তরুণীদের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারছে না বাংলাদেশ।
ইউরোপের দেশগুলোর উদাহরণ টেনে নেতারা বলেন, সেসব দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সরকারি কর্মকর্তাদের চাইতেও উচ্চ মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। ফলে সেসব দেশে উচ্চশিক্ষায় ভালো করা তরুণ-তরুণীরা শিক্ষকতা পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করে এবং গবেষণাসহ নানা উদ্ভাবনী কাজে মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশে ঠিক তার উল্টো চিত্র পরিস্ফুটিত হচ্ছে মন্তব্য করে নেতারা বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের তীব্র সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলেন, এক শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা নানাভাবে তাদের পদমর্যাদা, সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে নিচ্ছে অন্যদিকে শিক্ষকতাসহ অন্যান্য পেশাকে হেয় করার অপচেষ্টার প্রবণতা এই ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের কর্মকাণ্ডে ফুটে উঠছে।
শিক্ষকতা পেশাকে সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা তারই বহিঃপ্রকাশ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অধ্যাপকদের সিনিয়র সচিবদের পদমর্যাদা দেওয়ার দাবিকে যুক্তিযুক্ত দাবি মনে করে জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলন। নেতারা বিবৃতিতে সরকারের প্রতি ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ হাজার শিক্ষক ও ৫০ হাজারের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান।
মন্তব্য করুন