২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন; যা গত বছরের প্রথম দিনের পরীক্ষার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড বাদে বাকি আটটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আজ প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন আট শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে ২ হাজার ৬০১ জন শিক্ষার্থী বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১ হাজার ৫০৮ জন, কুমিল্লায় ১ হাজার ১৫৬ জন, যশোরে ১ হাজার ৩২৮ জন, চট্টগ্রামে ৯৭৫ জন, বরিশালে ৭২৭ জন, দিনাজপুরে ১ হাজার ১৩ জন এবং ময়মনসিংহে ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, গত বছরের চেয়ে এবার অনুপস্থিতি কিছুটা বেশি। সেক্ষেত্রে প্রতিকূল আবহাওয়া একটি কারণ হতে পারে। আবার এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কিছু বেশি।
তিনি বলেন, আমরা বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়ায় একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কোনো পরীক্ষার্থী দেরিতে কেন্দ্রে আসলে, তাকে সময় সমন্বয় করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হাতে সময় নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসবেন।
প্রসঙ্গত, বন্যা পরিস্থিতির কারণে এ বছর সিলেট বোর্ড ছাড়া বাকি ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছরও এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে ৫ হাজার ৫২২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
মন্তব্য করুন