রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে পাঁচটি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চূড়ান্ত আবেদন শেষে গত মঙ্গলবার সিটপ্ল্যান প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে পছন্দের কেন্দ্রে আসন না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী রংপুরের অনেক পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছে চট্টগ্রামসহ অন্য বিভাগীয় শহরে। ফলে ভোগান্তি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন পরীক্ষার্থীরা।
জানা যায়, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ডাউনলোডের পর ভোগান্তির বিষয়টি টের পান শিক্ষার্থীরা। এতে দেখা গেছে, রাজশাহী বা রংপুর বিভাগের পরীক্ষার্থীর আসন উত্তরবঙ্গে হওয়ার কথা থাকলেও আসন পড়েছে চট্টগ্রাম বা খুলনায়। সিটপ্ল্যান নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তাই নতুন করে আসন বিন্যাস প্রকাশের দাবি করেছেন তারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামে এক ফেসবুক গ্রুপে জিকরা নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, আমার বাসা ঝিনাইদহ। আমার পক্ষে ঝিনাইদহ থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এত টাকা দিয়ে আবেদন করার পর আবার এতদূর অনেক টাকা দিয়ে জার্নি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এটা হয়রানি। স্টুডেন্টদের মতামত অনুযায়ী পছন্দের বিভাগে সিট দেওয়া উচিত।
একই গ্রুপে শিক্ষার্থী রওনক জাহান রোজি লিখেছেন, আমার বাড়ি বগুড়া। সেই অনুযায়ী আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্স্ট চয়েজ দিয়েছি। আমার পরীক্ষার সিট পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে রাজশাহী যেতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে; কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এবং থাকার জায়গা নিয়েও চিন্তায় পড়েছি। অঞ্চলভেদে সিটপ্ল্যান করা উচিত ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, অনেকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথমে রেখেছে, কিন্তু আসন সংখ্যা সীমিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের এইচএসসির ফল সাপেক্ষে সিটপ্ল্যান করা হয়েছে।
সিটপ্ল্যান পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করতে পুরো প্রসেস আবার সাজাতে হবে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন হতে পারে। ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান কালবেলাকে বলেন, শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকা অনুযায়ীই কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পছন্দ তালিকার প্রথম কেন্দ্রে আসন পূরণের পর পরবর্তী কেন্দ্রে সিট পড়েছে। এই সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করার সুযোগ দেখছি না।
মন্তব্য করুন