বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭ হাজার ৫৫২ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৭ হাজার ৪৬৭ জন। শতাংশের হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার হার ৯৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম শিফটে এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দ্বিতীয় শিফটে বুয়েট ক্যাম্পাসে এ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো। তাদের ভাষ্য, ‘রেকর্ডসংখ্যক’ পরীক্ষার্থী এবার মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আগামী ৮ মার্চের মধ্যে এ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বাছাইকৃত সব সঠিক আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ২৪ হাজার ২১১ জন শিক্ষার্থী গত ২৩ জানুয়ারি তিন শিফটে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের প্রথম থেকে ২৫০০তম পর্যন্ত তিন শিফটে (মডিউল-এ ও মডিউল-বি) মোট ৭ হাজার ৫৫২ জন শিক্ষার্থী মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হন। যার মধ্যে প্রথম শিফটে ২ হাজার ৫২০ জন, দ্বিতীয় শিফটে ২ হাজার ৫১২ ও তৃতীয় শিফটে ২ হাজার ৫২০ জন নির্বাচিত হন।
এদিকে, এবার রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থীর উপস্থিতিতে মূল ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয় জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ হাজার ৫৫২ জন নির্বাচিত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ হাজার ৪৬৭ জন মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। অধিকাংশ হলেই শতভাগ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
ভোগান্তি এড়াতে কক্ষ পরিদর্শনে যাননি ভিসি-প্রোভিসি
বুয়েটের মূল ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্র পরিদর্শন করলেও কোনো কক্ষে প্রবেশ করেননি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও মনোযোগ বিনষ্টের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার কোনো কক্ষ পরিদর্শন করেননি। তবে কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সার্বিক পরিস্থিতিতে নজরদারি রাখেন।
কেন্দ্র পরিদর্শনকালে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন ভর্তি কমিটির সভাপতি ও যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জহরুল হক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ প্রমুখ।
চলতি শিক্ষাবর্ষে বুয়েটের ৫টি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি ও স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসন থাকবে। সব মিলিয়ে আসনসংখ্যা ১ হাজার ৩০৯টি।
মন্তব্য করুন