চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১০ এএম
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

খাতা না দেখেই মনগড়া রেজাল্ট দিয়েছে, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে সদ্য প্রকাশ হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় খারাপ করা শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ‘পরীক্ষার খাতা না দেখেই রেজাল্ট দিয়েছে চট্টগ্রাম বোর্ড।’ আন্দোলন চলাকালে সমন্বয়কদের ডেকে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার অভিযোগও তোলে বোর্ড কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বোর্ডের সামনে আন্দোলন শুরু করে তারা। এ সময় বিভিন্ন কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান ছিল।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, খাতা না দেখেই বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া রেজাল্ট দিয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ আসার পরও তাদের গণহারে ইংরেজিতে ফেল করিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়াও সিলেট বোর্ডে মাত্র দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাইকে পাস করানো হয়েছে, অথচ চট্টগ্রাম বোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী দেবপ্রিয় বড়ুয়া কৌসিক বলেন, ‘আমাদের চার বিষয়ের মোট ৭টি পরীক্ষা হয়েছে। দুই বিষয় মিলে ৬৬ নম্বর পেলেই পাস; কিন্তু ৭৬ পাওয়ার পরও ফেল দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কায়সার নিলুফা কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম খান বলেন, ‘আমি সব পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু আমাকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। বাংলা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পরও পরও আমাকে অনুপস্থিত দিয়ে দিয়েছি’।

স্থানীয় অভিভাবক ফারজানা রূপা বলেন, ‘এত ভালো পরীক্ষা হওয়ার পরও আমার ছেলেটাকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। ফিজিক্স পরীক্ষায় ১১০ পাওয়ার পরও কেমনে ফেল আসে? যেখানে ৬৬ তে পাস। আবার বাংলাতে ৭৫ পাইছে, তাও ফেল।’

তারা বলছে, ‘এমসিকিউতে খারাপ করছে তাই ফেল আসছে। কিন্তু আমরা তো জানি আমার বাচ্চা কেমন পরীক্ষা দিয়েছে। ইচ্ছেমতো নম্বর কম দিয়ে ফেল করাই দিছে।’

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আমিরুল মোস্তফা কালবেলাকে বলেন, ‘যারা খারাপ করছে তারা এসে আন্দোলন করছে। তারা বলছে, সিলেট বোর্ড দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছে, আমরা সাত বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে কেন খারাপ করলাম। তারা আসলে তাদের মতো করে দাবি তুলছে। কিন্তু তারা পরীক্ষা দিয়ে যদি রেজাল্ট খারাপ করে, তাহলে আমাদের কি কিছু করার আছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এমসিকিউ থাকে, আর ৩০ নম্বরের প্রশ্নে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ১০ পেতে হবে। কিন্তু সে যদি এখানে কম নম্বর পায়; কিন্তু মোট নম্বরে যদি ৮০ বা ৯০ পেলেও ফেল আসবে। তাই শিক্ষার্থীকে লিখিত এবং এমসিকিউতে আলাদা আলাদা পাস করতে হবে। এখন কেউ যদি কোনো একটি বিষয়ে খারাপ করে, তাহলে ফেল আসবে। এখানে কারও কোনো হাত নেই। যে যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছে তেমন ফলাফলই পেয়েছে। তার পরও যদি কারও আশানুরূপ ফল না পায়, তাহলে তো অবশ্যই তা পুনঃনিরীক্ষণ করার সুযোগ আছে। আর পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাইবাছাই করে ফের রেজাল্ট দেওয়া হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

ফাঁপোড় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ যেসব আমল

ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণ জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

দু’দিনের ব্যবধানেই বাড়ল সোনার দাম

শাবিতে ‘গণহত্যায় অর্জিত স্বাধীনতা’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী শুরু

অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে চিন্তাধারায় বৈচিত্র্য আনতে হবে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা

থানা হবে নগরবাসীর সার্ভিস সেন্টার : নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার

‘খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল’

১০

কুয়াকাটায় ৩২৩ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ শিক্ষার্থীদের

১১

বাংলাদেশ-ভারত বৈঠক ডিসেম্বরে, হতে পারে হাসিনার প্রত্যর্পণের আলোচনা

১২

এবার পাবিপ্রবিতে চোর সন্দেহে আটক যুবক

১৩

পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন চলাচল শুরু ২ ডিসেম্বর

১৪

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা প্রয়োজন, তা করা হবে : সিইসি

১৫

পুতিনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কড়া বার্তা

১৬

ব্রেক ফেল হওয়ায় প্ল্যাটফর্মের ২ কিমি দূরে থামলো ট্রেন

১৭

যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

১৮

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত আনসারীর ফেসবুক পোস্ট

১৯

গতির পার্থে লড়াইয়ের জোশ

২০
X