এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে। অন্যান্য বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা কিছুটা এগিয়ে থাকলেও সিলেটের শিক্ষার্থীরা অনেকটা পিছিয়ে। বন্যা, আন্দোলন ও কারফিউয়ের কারণে পেছানো হয় সিলেট শিক্ষাবোর্ডসহ সকল শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা। পেছানো চারটি পরীক্ষার রুটিন দিলেও শেষগুলোর শেষ কবে, এ নিয়ে অভিভাবকরাও চিন্তিত।
অভিভাবকরা বলছেন, পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সময় কম পাবে তারা। এ ছাড়া অন্য বোর্ডের শিক্ষার্থীরা সাতটি পরীক্ষা শেষ করেছেন। সিলেট বোর্ডে শেষ হয়েছে মাত্র তিনটি। এ কারণে এই বোর্ডের শিক্ষার্থীদের উৎকণ্ঠাও বেশি।
জানা যায়, সিলেট বিভাগে এবার ৮৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৫ হাজার ৫৮৬ জন, বাণিজ্য বিভাগে ১১ হাজার ৩৭৭ ও মানবিক বিভাগে ৫৬ হাজার ১৯১ জন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সিলেট বিভাগের স্থগিত পরীক্ষাগুলো ১৩ আগস্ট, ১৮ আগস্ট, ২০ আগস্ট ও ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এরই মধ্যে পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে। আন্দোলন বা কারফিউর কারণে স্থগিত হওয়া ১৪ জুলাই, ১৬ জুলাই, ১৮ জুলাই, ২১ জুলাই ও ২৩ জুলাইয়ের পরীক্ষার রুটিন এখনো হয়নি। বাংলা-ইংরেজির মতো পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছে।
সিলেট মুরারী চাঁদ কলেজের (এমসি কলেজ) এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফারজানা বুশরা কালবেলাকে বলেন, ডিসেম্বরের শুরুতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হবে। এতে দেশের সব পরীক্ষার্থী একই রুটিনে পরীক্ষা দেবে। অন্য বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা তাদের চেয়ে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় পাবে। এসব ভাবলে দুশ্চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক।
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থী লিসা আহমদ কালবেলা কে বলেন, বারবার পরীক্ষা পেছানো মনের ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়ে। অন্য বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা যেখানে এগিয়ে গেছে আমাদের শেষটা কী হবে জানি না। এ নিয়েও দুশ্চিন্তায় অনেকে।
সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল কালবেলাকে বলেন, কারফিউ কিংবা অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে স্থগিত পরীক্ষা সারাদেশে একসঙ্গে হবে। সব পরীক্ষাই একেবারে বাধ্য হয়ে পেছানো হয়েছে। সামনে যে বিপদ আসে, সেটি মোকাবিলা করাই প্রধান বিবেচ্য বিষয় হবে। এ কারণে পরে কী হবে, সেটি অনেক সময় চিন্তা করার সুযোগই থাকে না।