লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চরবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ১৬ শিক্ষার্থী।
সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও রোববার (৩০ জুন) শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই তারা। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরাও।
জানা গেছে, উপজেলার চলবলা ইউনিয়নে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ২০০৯ সালে শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন চলবলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু। প্রতি বছর ওই বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়ে আসছে। তাই এবারেও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে যথাসময়ে প্রতিষ্ঠানটির এইচএসসি প্রথম বর্ষের ১৬ জন পরীক্ষার্থী তাদের ফরম পূরণ করেন।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী বিপুল চন্দ্র ও আবু হাসান লিমন জানায়, পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কলেজে দিয়ে যথাসময়ে ও যথানিয়মে ফরম পূরণ করে প্রথম বর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থী। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, কেন্দ্রেই প্রবেশপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই আশায় কেন্দ্রে গিয়েও পরীক্ষা দিতে পারেনি তারা। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেল শিক্ষাজীবনের একটি বছর। তারা এমন ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করে।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাবুল হোসেন জানান, সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে এমন শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তাদের অবহেলায় ১৬ জন পরীক্ষার্থীর জীবন থেকে হারিয়ে গেল একটি বছর। তিনিও ন্যায়বিচার দাবি করেন।
শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষক সুকুমার বলেন, ১৬ জন পরীক্ষার্থীর সকলের ফরম পূরণ করা হয়েছিল। অনলাইন জটিলতায় তাদের প্রবেশপত্র পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ঢাকায় কয়েক দফায় গিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
তবে ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু জানান, যে ১৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তারা সকলে অন্য প্রতিষ্ঠানেও (জেনারেল) ভর্তি আছে। এ জন্য তাদের এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন